বিএনপির নেতারা নিজেদের পকেট উন্নয়নের রাজনীতি করে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি নিজেদের পকেটের উন্নয়নের রাজনীতি করে আর শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের রাজনীতি করেন। কে কী বলল তাতে আমাদের কিছু যায়-আসে না। আমরা যা করছি মানুষের জন্য করছি।
গতকাল সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলের সুবর্ণ জয়ন্তী ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, সে সময় তারা বিলাসি জীবনযাপন করেছে, এখনও তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডনে বসে পলাতক অবস্থায় আয়েশি জীবনযাপন করছেন। সেখানে তাদের আয়েশি জীবনযাপনের কথা আওয়ামী লীগকে বলা শোভা পায় না। যারা লুটপাট করেছে তাদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে আজ তারা ক্ষমতায় নেই।
বেগম জিয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি এখন যেখানে আছেন সেটাই হচ্ছে আদালতের এখতিয়ার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার উদারতা, মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করেছেন এবং তাকে বাসায় থাকার অনুমতি দিয়েছেন। এর অর্থ এই নয় যে, তার সাজা বাতিল হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতাবলে এটা তার মহানুভবতা। শারীরিক কারণে, মানবিক কারণে তার সাজা স্থগিত রাখা হয়েছে। এখন তিনি ইলেকশন করবেন, কী রাজনীতি করবেন সেটা আদালতের জাজমেন্টের ওপর নির্ভর করে।
ঢাকসুর নিয়মিত নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাবি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, নির্বাচন করার দায়িত্ব তাদের। এখানে আওয়ামী লীগের কোন হস্তক্ষেপ নেই। নিয়মিত নির্বাচন করতে না পারাটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যর্থতা।
অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনকে অরাজনৈতিক উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সব জায়গায় রাজনীতি করতে চাই না। কিছু কিছু জায়গা রাজনীতি থেকে বাইরে রাখতে হয়। অ্যালামনাইয়ের চরিত্র অরাজনৈতিক হওয়া উচিত।
অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর মো. নিজামুল হক ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মো. আখতারুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমেদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুসসহ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়শনের সদস্যরা। অনুষ্ঠান উদ্বোধনের পর পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
