ফায়ার সার্ভিসের জন্য আরো ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে

বললেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আগুন নিয়ন্ত্রণে উন্নত যন্ত্রপাতি কিনতে ফায়ার সার্ভিসের জন্য আরো ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আমরা কিছুটা পিছিয়ে ছিলাম। তবে শিগগিরই আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কিছু যন্ত্রপাতি কিনছি, যা ফায়ার সার্ভিসে যুক্ত হলে অগ্নিনির্বাপণে অনেকটাই এগিয়ে যাব।

গতকাল সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, গত বছর ফায়ার সার্ভিসের জন্য ২৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে আমি ২০০ কোটি টাকা ছাড়ের ব্যবস্থা করেছি। এগুলো দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের জন্য ১১টি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র আসবে। আশা করছি এগুলো এলে আগুন নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই সহজ হয়ে আসবে। এবছর আরো ৩০০ কোটি টাকা আমরা ছাড় দেব। ডা. এনামুর রহমান বলেন, আমরা বন্যার সময় দেখেছি অনুসন্ধান ও উদ্ধারে বোট পাওয়া যায় না। এরপর আমরা ৬০টি মাল্টিপারপাস এক্সেসিবল রেস্কিউ বোট তৈরি করেছি। এগুলো তৈরি করা হয়েছে প্রতিবন্ধী বান্ধব করে। তাদের জন্য আলাদা টয়লেট, চেয়ার আছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭০ সালে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে আগাম সতর্কবার্তা উপকূলীয় সম্ভাব্য উপদ্রুত এলাকার জনগণের মধ্যে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে মেদেনী প্রতিষ্ঠান ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে উপকূলে আমাদের ৭৬ হাজার ১৪০ জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। বন্যাপ্রবণ এলাকায় অনুরূপ স্বেচ্ছাসেবক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিপিবির বাজেট ২৮ কোটি টাকায় উন্নীত করেছেন।

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিবেশ বর্তমানে ভালো আছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলকে অনুরোধ করব তারা যাতে মিয়ানমারে যেতে পারে, সে লক্ষ্যে আপনারা কাজ করবেন।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ। প্রতি বছর কোনো না কোনো দুর্যোগে জানমালের ব্যাপক অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতি হয়ে থাকে। বিশ্বব্যাপী দুর্যোগের ব্যাপক প্রমাণ করে দুর্যোগের পূর্ব সতর্কীকরণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান কৌশল হওয়া উচিত। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের নীতি-পরিকল্পনায় জনগণের জন্য দুর্যোগের পূর্বাভাস ও দুর্যোগ ঝুঁকিস্থানে কৌশল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।