কমরেড সাইফুল যে কোনো সময় সরকারের বিরুদ্ধে গণবিস্ফোরণ

প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক বলেছেন, যেভাবে একের পর এক ভবনে বিস্ফোরণ হচ্ছে, ঠিক একইভাবে ভোটবিহীন এ অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধেও যেকোনো সময়ে গণবিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে।

গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর ইনস্টিটিশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অব বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলয়নায়তনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ কংগ্রেসের দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও তৃতীয় ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সাইফুল হক বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের নজিরবিহীন লুটপাট ও দুর্নীতির ফলে গোটা দেশ এখন কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সরকার আবারও নানান কায়দায় ২০১৮ সালের ন্যয় আরেকটি জালিয়াতির নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন বলেন, জনগণের মনের কথা বলার জন্য, জনগণের অধিকার আদায়ের কথা বলার জন্যই বাংলাদেশ কংগ্রেসের জন্ম হয়েছে।

দলের মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, ন্যাপ (মোজাফফর)’র সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, জাগপা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ আতিয়ার রহমান, গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাদ্দাম হোসেন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন ফকির প্রমুখ বক্তব্য দেন। এর আগে সকালে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলেনের পর দলের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলামের স্বাগত বক্তব্যে মধ্য দিয়ে সম্মেলন শুরু হয়। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৪ মার্চ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ কংগ্রেস উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১৯ সালের ৯ মে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পায়। নিবন্ধন প্রাপ্তির পর দলটি নিজস্ব প্রতীক ডাব নিয়ে বিভিন্ন সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেয়। উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন জোটভুক্ত হয়ে বা এককভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় দলটি।

নতুন কমিটি : কাউন্সিলের দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত কর্ম অধিবেশনে অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন দলটির চেয়ারম্যান ও অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম মহাসচিব হিসেবে পুনর্নির্বাচিত করা হয়। পরে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড আগামী ৩ বছরের জন্য ৭১ সদস্যবিশিষ্ট দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নাম প্রস্তাব করেন এবং উপস্থিত নেতাকর্মীরা সমর্থন দিলে সেটা নির্বাচিত হিসেবে ঘোষণা করা হয়।