প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রধান কাজ ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দেয়া। ভোটাররা কে কোন দলকে ভোট দিয়েছে; সেটা কমিশনের দেখার বিষয় নয়। ভোটাররা যদি ভোট দিতে না পারেন, তাদের যদি প্রতিহত করা হয়; ভোটকেন্দ্রে যদি তাদের অধিকার খর্ব করা হয়- তাহলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে আমাদের ব্যর্থতার দায় নিতে হবে।
গতকাল সকালে কক্সবাজারের অভিজাত এক হোটেলে ‘নির্বাচনি ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার: চ্যালেঞ্জসমূহ এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ‘সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায়’ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের উদ্যোগে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) যত ভোট হয়েছে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত তথ্যনির্ভর কোনো অভিযোগ আসেনি। আগামী সংসদ নির্বাচনে ৫০ থেকে ৮০টি আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণের সক্ষমতা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সবসময় ইভিএমে নির্বাচন করার পক্ষে রয়েছে। আগামীতে নির্বাচনে আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করছে।
সিইসি বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই ব্যাপকভাবে আস্থাভাজন হয়ে ইসি ইভিএমের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ইতিপূর্বে ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত তথ্যনির্ভর কোনো অভিযোগ আসেনি।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, প্রকল্প পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনোয়ার হোসেন, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান ও জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম প্রমুখ।
কর্মশালায় নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুলিশ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, নতুন ভোটার, জনপ্রতিনিধি ও মুক্তিযোদ্ধাসহ সংশ্লিষ্টরা অংশগ্রহণ করেন।