অস্তিত্বের উৎস ধরে রাখতে বাঙালির বজ্রকণ্ঠ শাণিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘অগ্নিঝরা মার্চ ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বজ্রকণ্ঠ-প্রেরণায় ৭ মার্চ নামের অনলাইনভিত্তিক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষ্যে সংগঠনটি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু গ্রামগঞ্জ, তৃণমূলের বাঙালিদের একত্রিত করে বাঙালি জাতিসত্তাকে একটা জায়গায় নিয়ে এসেছিলেন। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাইকে বাঙালি হিসেবে এক পরিচয়ে পরিচিত করেছিলেন। বর্তমানে স্বাধীনতাবিরোধী এবং তাদের উত্তরসূরিরা দেশ ও দেশের বাইরে ভয়ংকর ষড়যন্ত্র করছে। তারা অনলাইনে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। তাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান নিতে হবে। অস্তিত্বের উৎস ধরে রাখতে হলে বজ্রকণ্ঠ শাণিত করতে হবে।
তিনি আরো যোগ করেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ দিয়ে যেমন বাঙালিত্বের আত্মপ্রকাশ হয়েছিল, ২৬ মার্চের ঘোষণায় যেমন স্বাধীন বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ হয়েছিল, তেমনি বজ্রকণ্ঠ-প্রেরণায় ৭ মার্চ আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে সে চেতনা ধারণ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের ভিত্তি হচ্ছে তৃণমূল কর্মীরা। তাদের ভর করে আওয়ামী লীগ টিকে রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সম্পদ ছিল সেই সময়ের সাত কোটি মানুষ। শেখ হাসিনার সম্পদ দেশের ১৭-১৮ কোটি সাধারণ জনগণ।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বিদ্যমান অবস্থা, অতীতের শোষণ, করণীয়, সমাধানের পথ তুলে ধরেছেন। ১৮ মিনিটের ভাষণে তিনি একটি জাতির কষ্টের কথা তুলে ধরেছেন, জনগণের ম্যান্ডেটের কথা তুলে ধরেছেন, বাঙালির অত্যাচার-নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরেছেন, বিকল্প প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন, বাঙালির করণীয় তুলে ধরেছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ডা. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বজ্রকণ্ঠ-প্রেরণায় ৭ মার্চ সংগঠনের সদস্যরাও এ সময় বক্তব্য দেন।