বাংলাদেশ এখন আর গণতন্ত্রের দেশ নয় বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের এমপি। স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায় দেশ চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। গতকাল শনিবার বিকালে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে জাতীয় পার্টি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারের সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন, আজ দেশে সত্য কথা বলা যায় না, অনেকে গণতন্ত্রের কথা বলেন, অথচ দেশে আজ কোনো গণতন্ত্র নেই। বাংলাদেশকে এখন গণতন্ত্রের দেশে বলা যাবে না। কারণ দেশে এখন স্বৈরশাসন চলছে। জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় এই উপনেতা বলেন, সামনে বাংলাদেশের অবস্থা আরো ভয়াবহ হবে। দেশে দ্রব্যমূল্য এখন আকাশছোঁয়া, দেশের মানুষ আজ দিশাহারা। মানুষ খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। দেশে ডলারের দাম যে হারে বাড়ছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। দেশের রিজার্ভ কমতে কমতে শূন্যের কোটায় পৌঁছেছে। দেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। সম্মেলনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দেশে আজ জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে, মানুষ কিছুদিন পর না খেয়ে মরবে। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় আসতে পারলে কুমিল্লা নামে বিভাগ ঘোষণা করা হবে। কুমিল্লাকে নিয়ে কোনো টালবাহানা চলবে না। চুন্নু বলেন, ‘গত ৩২ বছর দুইটি দল জালিম সরকার, এ দেশটি শেষ করে দিয়েছে। আমরা চারবার আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করছি, অথচ মানুষ আমাদের দালাল বলে ডাকে। এই সরকার ৯০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করছে শুধু বিদ্যুৎ খাতে।’ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির মহাসচিবের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘কাদের ও ফখরুল বলেন খেলা হবে, কিসের খেলা। আপনারা দুনীতি, গণতন্ত্র নিয়ে খেলেছেন। এসব খেলা এ দেশের জনগণ আর চায় না, জনগণ শান্তি চায়। মানুষ বিএনপি আওয়ামী ক্ষমতা আসুক আর চায় না, মানুষ মুক্তি চায়।’ জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এয়ার আহমেদ সেলিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সাল চিশতী, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আক্তার এমপি, আলমগীর শিকদার লোটন, জহিরুল ইসলাম জহির, রওশন আরা মান্নান এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম, মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন, বেলাল হোসেন প্রমুখ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পাটির যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা ওয়ায়দুল কবির মোহন, হুমায়ূন কবির মুন্সী, গোলাম মোস্তফা, আবুল কাশেম, ডা. আলী আহমেদ মোল্লা প্রমুখ। এর আগে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে দলীয় সংগীত পরিবেশ করেন নেতাকর্মীরা। এ সময় জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মী সম্মেলন স্থলে এসে মিলিত হন।
