ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আর্থসামাজিক উন্নয়নে জীবপ্রযুক্তির সুবিধা দিতে হবে মানুষকে

বললেন ঢাবি উপাচার্য
আর্থসামাজিক উন্নয়নে জীবপ্রযুক্তির সুবিধা দিতে হবে মানুষকে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান নতুন নতুন উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে জীবপ্রযুক্তির সুযোগ-সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে খাদ্য নিরাপত্তা সূচকে বাংলাদেশ অসাধারণ সফলতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জীবপ্রযুক্তির নতুন নতুন উদ্ভাবন ও সাধারণ মানুষের কল্যাণে এর যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে এই ধারাকে আরও এগিয়ে নিতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর প্ল্যান্ট টিস্যু কালচার এন্ড বায়োটেকনোলজির (বিএপিটিসিবি) যৌথ উদ্যোগে গতকাল নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ১০ম আন্তর্জাতিক প্ল্যান্ট টিস্যু কালচার এন্ড বায়োটেকনোলজি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন। এবছর সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ইনোভেটিভ বায়োটেকনোলজি ফর ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন’।

বিএপিটিসিবি’র সভাপতি অধ্যাপক ড. রাখহরি সরকারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এবং শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম কবীর বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুর হোসেন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বিএপিটিসিবি সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, সীমিত সম্পদের সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে আধুনিক কৃষি ও জীবপ্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে খাদ্য চাহিদা পূরণে কৃষি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটাতে হবে। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে সমন্বিতভাবে কাজ করার জন্য উপাচার্য জীবপ্রযুক্তিবিদ, কৃষিবিদ এবং জীববিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানান।

সম্মেলনে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত