ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাই

আরো দুই কোটি ৫৩ লাখ টাকা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৮

ছিনতাইয়ের ঘটনা জানালেন ডিবি প্রধান
আরো দুই কোটি ৫৩ লাখ টাকা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৮

রাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্য দিবালোকে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগ। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুই কোটি ৫৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানিয়েছেন। এ নিয়ে ছিনতাই হওয়া সোয়া ১১ কোটি টাকার মধ্যে মোট উদ্ধার হলো ৬ কোটি ৪৩ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা।

গতকাল রোববার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন- রাজধানীর মিরপুর, বনানী, সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. সানোয়ার হাসান, মো. ইমন ওরফে মিলন, মো. আকাশ মাদবর, সাগর মাদবর, মো. বদরুল আলম, মো. মিজানুর রহমান, মো. সনাই মিয়া ও এনামুল হক বাদশা।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর তুরাগ থানাধীন উত্তরা দিয়াবাড়ী ১১ নম্বর সড়কে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের টাকা বহনকারী মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের গাড়ি থেকে ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার অভিযোগ পাওয়া যায়। এর মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই উত্তরা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া সোয়া ১১ কোটি টাকার মধ্যে ৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

যেভাবে ১১ কোটি টাকা ছিনতাই হয়েছিল

রাজধানীর উত্তর এলাকায় সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। তাদের গ্রেপ্তারের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তারা কীভাবে সেদিন টাকা ছিনতাই করেছে এবং এর আগে কি কি করা হয়েছে তার আদ্যপ্রান্ত জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে।

ডিবির প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন- এ ঘটনায় রাজধানী ছাড়াও সিলেট ও সুনামগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা কিভাবে এই টাকা ছিনতাই করেছে তা জানিয়েছে। প্রথমে সানোয়ারকে পরে ইমনকে এরপর বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনা এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে ডিবি।

জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিবি জানিয়েছে, ঘটনার দিন ভোরে একটি হায়েস মাইক্রোবাস সিলেট যাওয়ার উদ্দেশে ভাড়া করা হয়েছিল। তাদের কথা মতো ঘটনার দিন ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে সেই প্রাইভেট কার চালক রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকার যাত্রী ছাউনির সামনে পৌঁছালে তারা তাকে পেছনের সিট ঠিক করার জন্য বলে। চালক পেছনে গেলে তারা তার হাত পা চোখ বেঁধে ফেলে সেই গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এরপর তারা টাকা বহনকারী সেই গাড়িটিকে অনুসরণ করতে শুরু করে। এ ঘটনার আগে তারা বহুদিন থেকে অনুসরণ করছিল। তারা অনুসরণ করে লক্ষ্য করেছে মানি প্লান্ট লিঙ্ক এর টাকা বহন করার সময় কোন অস্ত্র থাকে না এবং নিরাপত্তাকর্মী থাকে না।

ছিনতাই এর আগে তারা সেই গাড়ির একবার সামনে যায় একবার পেছনে আসে। নির্জন এলাকায় গেলে এক পর্যায়ে তাদের সাথে ধাক্কা লাগে। এরপর তাদের একজন বলে আপনারা গাড়িতে ধাক্কা দিলেন কেন বলার সাথে সাথে সেই গাড়ির গেট খুলে যায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত