ইউক্রেন ও রুশ সৈন্যদের মধ্যে লড়াইেেয় গত চব্বিশ ঘণ্টায় দুই পক্ষের কয়েকশ’ সেনা নিহত হয়েছে। কিয়েভ দাবি, তাদের সৈন্যরা রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিরোধ করছে।
ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র সেরহি চেরেভাতি বলেছেন, বাখমুতে মস্কোপন্থি ২২১ সৈন্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও তিন শতাধিক।
এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, বৃহত্তর ডনেস্ক রণাঙ্গনে ২১০ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে।
মস্কোর পক্ষ থেকে বাখমুতে হতাহতের কথা সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। ডনেস্ক অঞ্চলের পূর্বাংশে এই শহরের অবস্থান। দ্বিতীয় বছরে গড়ানো যুদ্ধে এই শহরটি প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পরিণত হয়েছে। এখানেই চলছে যুদ্ধের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দীর্ঘ লড়াই।
বাখমুতে সেনা নিহত ও ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করছে উভয়পক্ষ। তবে স্বতন্ত্রভাবে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা নিশ্চিত করা কঠিন।
শনিবার ব্রিটিশ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, রুশ ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধারা বাখমুতের পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এর আগে বুধবার এমন দাবি করেছিলেন গ্রুপটির প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন।
নিয়মিত গোয়েন্দা বুলেটিনে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, বাখমুতকা নদীর কাছে শহরের প্রাণকেন্দ্র এখন রণাঙ্গনে পরিণত হয়েছে।
ইউক্রেন জোর দিয়ে দাবি করছে যে, তারা বাখমুত ছেড়ে যাচ্ছে না এবং রুশবাহিনীকে কঠিন প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে। বাখমুতের প্রতিরক্ষার দায়িত্বে থাকা কমান্ডার বলেছেন ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের পর শহরটি সুরক্ষিত রাখা প্রয়োজন। শনিবার কর্নেল জেনারেল ওলেক্সান্ডার সিরস্কি জানান, রিজার্ভের সেনাদের মোতায়েন ও একটি পাল্টা আক্রমণ শুরু করার জন্য সময় নেয়া গুরুত্বপূর্ণ।
মস্কো বলছে, বাখমুত দখল করার মধ্য দিয়ে ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষায় ফাটল তৈরি হবে এবং ডনবার শিল্পাঞ্চল দখলের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথ সুগম হবে। কিয়েভ দাবি করেছে, রাশিয়া নিজেদের সেরা সামরিক ইউনিটগুলোকে বাখমুতে মোতায়েন করছে।
ব্রিটিশ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, রণাঙ্গন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ওয়াগনার বাহিনীকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে। তবে পরিস্থিতি ইউক্রেনীয় বাহিনীর জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ। ব্রিটেন বলছে, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ও পশ্চিমে তাদের সরবরাহ লাইন এখনও ঝুঁকিপূর্ণ। উত্তর ও দক্ষিণ দিক থেকে রাশিয়া আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র : বিবিসি