ছায়াপথে পৃথিবীর মতো গ্রহ
প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
কোপেনহেগেন ইউনিভার্সিটির গ্লোব ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের এই নতুন খোঁজ নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে। এমনিতেও চার হাজারের বেশি ভিনগ্রহ আবিষ্কার হয়েছে এ যাবৎ। গত শতাব্দীর ৯-এর দশক থেকে এ পর্যন্ত ২৭ থেকে ২৮ বছরে প্রায় চার হাজার ভিন গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে। এর আগে কোনো ভিন গ্রহে একই সঙ্গে তরল পানি ও বায়ুমণ্ডলের উপস্থিতি আর সেই গ্রহটিকে তার নক্ষত্রমণ্ডলের হ্যাবিটেব্ল জোনে থাকতে দেখা যায়নি। তবে এখন বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারছেন, চেনাশোনা ছায়াপথেই পৃথিবীর মতো এমন অনেক গ্রহ ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছে যেখানে প্রাণের বাসযোগ্য পরিবেশ রয়েছে। দি ওয়াল ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’ জার্নালে এই গবেষণার খবর সামনে এনেছেন গ্লোব ইনস্টিটিউটের মহাকাশবিজ্ঞানীরা। গবেষক অ্যান্ডার্স জোহানসেন কম্পিউটার মডেলে দেখিয়েছেন, প্রায় ৪০০ থেকে ৪৫০ বছর আগে পৃথিবীর মতো এমন অজস্র গ্রহ তৈরি হয়েছিল। পৃথিবী, মঙ্গল ও শুক্রগ্রহের মতো যাদের উপাদান পাথুরে কণা, বরফ ও কার্বন। আসলে এই ব্রহ্মা-ে নানা জাতের, নানা গোত্রের গ্রহ আছে। কোনোটি পৃথিবীর মতো, কোনোটি পৃথিবীর চেয়ে ছোট ‘সাব-আর্থ’ আবার কোনোটি পৃথিবীর চেয়ে বড় ‘সুপার আর্থ।’ এই সুপার আর্থগুলোতে পানি ও কার্বন থাকার সম্ভাবনা বেশি। সুপার আর্থদের তাপমাত্রাও হয় অনেকটা পৃথিবীর মতোই। অর্থাৎ হ্যাবিটেবল জড়ান বা প্রাণের বাসযোগ্য পরিবেশ রয়েছে। প্রায় ৫০টির মতো এমন গ্রহের খোঁজ মিলেছে, যেগুলো নিয়ে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর যমজও বেরিয়ে পড়েছে এই ফাঁকে, এক্সোপ্ল্যানেট ‘টিওআই ৭০০ ডি’। নীলপানা গ্রহ ঠিক যেন নতুন পৃথিবী। এখনও পর্যন্ত পাঁচশ’রও বেশি গ্রহ, ছোট গ্রহ ও উপগ্রহের খোঁজ মিলেছে, যাদের সঙ্গে পৃথিবীর বিস্তর মিল। এই গ্রহগুলোর মধ্যে কেপলার-৪৫২বি-ই আমাদের সৌরজগতের গ্রহগুলোর মতো। হাবল স্পেস টেলিস্কোপ খবর দিয়েছে, আমাদের পৃথিবী থেকে ৮৮০ আলোকবর্ষ দূরে এক নক্ষত্রের পরিবার আছে, যার নাম ডব্লিউএএসপি-১২১। এ গ্রহের বায়ুমণ্ডলে ট্রোপোস্ফিয়ার আছে, তার ওপরে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার আছে। সেখানে আবার জলীয়বাষ্পও জমে আছে। সূত্র : ইন্টারনেট।