ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, তারা (সরকার) রাষ্ট্রের মূল স্তম্ভগুলো ভেঙে দিচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। ‘আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২৭ দফা রূপরেখার গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট। গত বুধবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের (২০২৩-২৪) প্রথম দিনে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এদিন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ গিয়ে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের পিটিয়ে মিলনায়তন থেকে বের করে দেয়। পুলিশের হামলায় আইনজীবী, সাংবাদিকসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। এদিন ধাক্কাধাক্কি, মারধর, ভাঙচুর ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার মধ্যদিয়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের অংশগ্রহণ ছাড়াই নির্ধারিত সময়ের ২ ঘণ্টা পর ভোট শুরু হয়। আজ (গতকাল) দ্বিতীয় ও শেষ দিনের ভোট। এমন অবস্থায় গ্রহণযোগ্য কমিটি করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব এ বিষয়ে বলেন, গত বুধবার যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে, যা জাতির জন্য, এই দেশের বিচারব্যবস্থার জন্য জঘন্যতম ঘটনা। তারা এই ঘটনার নিন্দা জানান, ধিক্কার জানান। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন বরাবরই সুষ্ঠু হয় উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা একটা আদর্শ নির্বাচন। এখানে যারা দায়িত্বে থাকেন, তারা আইনজীবী মানুষ। যারা নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করেন, তারাও আইনজীবী। এখানে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয়। কিছুদিন আগে তারা প্রেসক্লাবের নির্বাচনব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের অভিযোগ, বিএনপি একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এই অভিযোগ প্রসঙ্গ বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকার বলে, আমরা নাকি এ দেশে একটা সমস্যার সৃষ্টি করতে চাচ্ছি, যাতে ভোট না হয়। ভোট তো নষ্ট করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। যেন ভোট না হয়, তারা সে ব্যবস্থা করেছে, জনগণ যেন ভোট দিতে না পারে, তারা নির্বাচনব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রধান রাস্তা নির্বাচন। সুষ্ঠু, অবাধ, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জায়গাটা তারা শেষ করে দিয়েছে। জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমসহ ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।