৭ মার্চের ভাষণের পর পাকিস্তানের আইন দিয়ে নয়, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশেই নিয়ন্ত্রিত হতো পূর্ব বাংলা। বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালি নয় পুরো বিশ্বে নেতৃত্বের দৃষ্টান্তে অবধারিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু তার জীবনের বেশিরভাগ সময়ই লড়াই-সংগ্রাম, কারাবরণের মধ্য দিয়ে কাটিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার বাসনা পূরণ করে যেতে পারেননি, কিন্তু তারই সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বের কাছে উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’ স্লোগানকে সামনে রেখে গতকাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে
এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ যেন শিক্ষাঙ্গনসহ সারা দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সে ব্যাপারে ছাত্র-শিক্ষকসহ সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
সভায় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আমাদের ধারণ করে আগামীর পথে এগিয়ে চলতে হবে। বঙ্গবন্ধু সবসময় শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ কর্মচারীদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে সোচ্চার ছিলেন।
এদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিব মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। এরপর একে একে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীল দল, কর্মকর্তা সমিতি, কর্মচারী সমিতি, পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এ সময় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সরোয়ার আলম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. একেএম লুৎফর রহমান, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, কর্মকর্তা, সাংবাদিক প্রতিনিধি এবং কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি র্যালি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। পরে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে কেক কাটা হয়।
সকাল ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু ও আগামীর শিশু’ শীর্ষক শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।
এছাড়াও দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার করা হয়। এদিকে বাদ জুমা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বিশেষ দোয়া মাহফিল হয়। এতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্রনেতৃবৃন্দ, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।