ঢাকা ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

উভয় গ্রুপের আহত ৭

সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়া নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়া নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়া এবং ব্যানারে এমপির নাম না থাকাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মমিন মণ্ডল এবং সাধারণ সম্পাদক বেগম আশানুর বিশ্বাসের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়গ্রুপের কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। বেলকুচি থানার ওসি আসলাম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, গতকাল শুক্রবার সকালে স্থানীয় এমপি আব্দুল মমিন মণ্ডল দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে যান। সেখানে দলীয় কার্যালয়ে লাগানো ব্যানারে এমপির নাম না থাকাকে কেন্দ্র করে তার সমর্থকদের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেগম আশানুর বিশ্বাসের সমর্থকদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে উভয়গ্রুপের কয়েক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেগম আশানুর বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্থানীয় এমপি আব্দুল মমিন মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করি। এরপর দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য যাই। সেখানে লাগানো ব্যানারে এমপির নাম না থাকায় এমপির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে তারা ওই ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে এবং আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করে। এমপির এমন আচরণের বিষয়টি দলের উচ্চপর্যায়ে অভিযোগ করা হবে বলে তিনি জানান। এদিকে এমপি আব্দুল মমিন মণ্ডলের ব্যক্তিগত সহকারী সেলিম সরকার সাংবাদিকদের জানান, সকালে এমপি দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর কার্যালয়ের ভেতরে গিয়ে দেখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে লাগানো ব্যানারে তার নাম নেই। বিষয়টি দলের সাধারণ সম্পাদক আশানুর বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তার কিছু লোকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে আমরা দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে কলেজ মোড়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত