একাডেমিক কাউন্সিলের সভা

ইবিতে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত

প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ইবি প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) স্নাতক ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা গুচ্ছের বাহিরে গিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইবি প্রশাসন। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চূড়ান্ত এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার। তিনি বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে চূড়ান্ত এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম ইউজিসির সভায় বিষয়টি উথাপন করবেন।

একাডেমিক কাউন্সিলের সভা সূত্রে জানা গেছে, নিজস্ব ভর্তি কার্যক্রম সহজতর করতে কয়েকটি সুপারিশ করেছে শিক্ষক সমিতি। সেগুলো হলো- অনতিবিলম্বে ভর্তি পরীক্ষার কাজ এগিয়ে নিতে হবে; ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরু করতে হবে; শিক্ষার্থীদের আবেদন ফরমের মূল্য ন্যূনতম হতে হবে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হতে যে খরচ হয় শুধুমাত্র সেই টাকাটি নিতে হবে এবং ভর্তি জটিলতা বা দীর্ঘসূত্রিতা যাতে না হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে ইবি শিক্ষকরা তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, সমিতির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে দেশের ২১ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে ইবি। পরবর্তীতে দেখা যায় সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়ার সমন্বয়হীনতা, দীর্ঘসূত্রিতা শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়াকে আরো জটিল করে তুলেছে। ফলে ইবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা করে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে আবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থী ভর্তির পক্ষে মতামত প্রদান করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে ইবি প্রশাসনের সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়ার জটিলতাসমূহ নিরসনের আশ্বাসে ইবি শিক্ষক সমিতি শর্তসাপেক্ষে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়টা মেনে নেন। কিন্তু ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়ার জটিলতা, ভোগান্তি ও দীর্ঘসূত্রিতা আরো বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে গুচ্ছে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত বিভাগ মিলে ৬০টি আসন খালি রেখে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করেছে ইবি প্রশাসন। জানা যায় ভর্তির নিমিত্তে বিশ্ববিদ্যালয় মোট ১৩টি মেরিট লিস্ট প্রকাশ করেও পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী পায়নি।

প্রসঙ্গত, গতকাল সকালে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ‘মৃতুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের পাদদেশে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।