পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি-সম্প্রীতি ও উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নাই। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ের মানুষ শান্তিচুক্তির সুফল পাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমাদের সম্পদ সীমিত।
ধাপে ধাপে পার্বত্যাঞ্চলের সকল চাহিদা, অভাব পূরণ করা হবে। সম্প্রতি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের মিলেনিয়াম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এবং ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড’ বাস্তবায়িত ১ হাজার ৭৭ পরিবারের মধ্যে সোলার হোম সিস্টেম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
‘পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প-২য় পর্যায়’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় খাগড়াছড়ির ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের ছয়টি ওয়ার্ডে ১ হাজার ৭৭ পরিবারের মধ্যে সোলার হোম সিস্টেম বিতরণ করা হয়।
মন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ যাতে আলো-বাতাস পায় সে ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিদ্যুৎহীন পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের মাঝে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সোলার প্যানেল হোম সিস্টেম বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি সোলার প্যানেল বিতরণে কাউকে কোনো টাকা পয়সা দিতে হয় না বলে জানান।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন শরণার্থী পুনর্বাসন সম্পর্কিত টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদণ্ডমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সোলার হোম সিস্টেমের প্রকল্প পরিচালক ও সদস্য (বাস্তবায়ন) উপসচিব মো. হারুন-অর-রশিদ, খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র ও খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিনিয়া চাকমা, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শানে আলম এবং উন্নয়ন বোর্ড-খাগড়াছড়ি প্রকৌশল শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুজিবুল আলম।
পরে মন্ত্রী বীর বাহাদুর খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ৫১৭ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর মধ্যে ২ কোটি টাকার শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ করেন। খাগড়াছড়ির ৯টি উপজেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪৫ জন ও কলেজ পর্যায়ে ২৭২ জনসহ মোট ৭১৭ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ করা হয়। কলেজ পর্যায়ে প্রত্যেক মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে ৭ হাজার এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০ হাজার টাকা করে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।