সংসদীয় আসনের বর্তমান সীমানার পক্ষে-বিপক্ষে এবার ১৮৬টি আবেদন জমা পড়েছে। তবে রংপুর ও সিলেট অঞ্চলে দাবি-আপত্তি আবেদন করেনি কেউ। নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান জানিয়েছেন, এবার কুমিল্লা অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৮৪টি ও রাজশাহীতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩টি আবেদন রয়েছে। এছাড়া বরিশালে ২৯টি, ঢাকায় ১৮টি, খুলনা ও ফরিদপুর অঞ্চলে ৫টি করে এবং ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে একটি করে আবেদন পড়েছে।
মো. আনিছুর রহমান জানান, আবেদনগুলো আসনভিত্তিক ভাগ করে কোন আসনে কতটি দাবি বা আপত্তি পাওয়া গেছে সেগুলো নিয়ে কাজ করবে ইসি সচিবালয়। একই আসনে পক্ষে-বিপক্ষে এমন আবেদন থাকতে পারে। কোনটা আবার নতুন প্রস্তাবসহ কোনো আবেদন থাকতে পারে। তিনি বলেন, এটা যখন বিন্যাস করা হবে তখনই বোঝা যাবে, কে কী চেয়েছে। এটা করতে একটু সময় লাগবে। এরপর কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হবে। কমিশন তখন শুনানি করবে। কোনটার সীমানা পরিবর্তন করতে হবে, কোনটার লাগবে না তখন নির্ধারণ হবে । বর্তমান সীমানাই বহাল রাখার আবেদন যারা করেছেন তাদের আবেদনের শুনানি নেযার দরকার নেই। যদি বিপক্ষে কেউ বলে থাকে তখন শুনানির দরকার হবে।
ইসি সূত্র জানায়, সব কিছু পর্যালোচনা করে আগামী মাসে শুনানি হতে
পারে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পাঁচ বছর আগের সীমানা বহাল রেখেই ২৬ ফেব্রুয়ারি খসড়া সীমানা প্রকাশ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। এর মধ্যে মাত্র ছয়টি আসনে প্রশাসনিক নতুন এলাকা নাম পরিবর্তন হওয়ায় তা সংশোধনের প্রস্তাব করে ইসি। ৩০০ নির্বাচনি এলাকার খসড়া নিয়ে ১৯ মার্চ পর্যন্ত দাবি ও আপত্তি জানানোর সময় বেঁধে দেয়া হয়। দাবি-আপত্তির আবেদন নিয়ে শুনানি শেষে এ বছরের মাঝামাঝি এসব আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করার কথা রয়েছে। ইভিএম রক্ষণাবেক্ষণে বরাদ্দ চেয়ে দ্রুত অর্থমন্ত্রণালয়ে চিঠি দেবে ইসি ।
নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান আরো বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে
সামনে রেখে এক লাখ দশ হাজার ইভিএম রক্ষণাবেক্ষণে হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ ছাড় চেয়ে দ্রুত অর্থমন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হবে। অর্থ জোগান না পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েও কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ নির্বাচন কমিশনার জানান গত ১৫ মার্চের কমিশন বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অর্থমন্ত্রণালয়ে একটা চিঠি দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। ১ লাখ ৪০ হাজার ইভিএম মেরামতের জন্য এক হজার ২৬০ কোটি টাকার মতো লাগবে। এ লক্ষ্যে একটা চিঠি প্রস্তুত করা হয়েছে। ।কমিশনের হাতে থাকা ইভিএম রক্ষণাবেক্ষণ করে ৫০-৭০ আসনে ইভিএমে ভোট করার সক্ষমতা রয়েছে ইসির, বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে ভোট করতে হবে। নির্বাচন কমিশনার আনিছুর বলেন, ইভিএম মেইনটেইনেন্সের জন্য যদি টাকা না পাওয়া যায় তাতেও আমাদের সিদ্ধান্তে আসতে হবে- ব্যালটে কতটা করব বা ইভিএমে আদৌ করব কি না। কাজেই সবটাই নির্ভর করবে অর্থ প্রাপ্তির ওপর।