ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে পাবে ভিন্ন মাত্রা

পুরো রোজায় হাঁকডাক থাকবে পুরান ঢাকার ইফতার বাজারে

পুরো রোজায় হাঁকডাক থাকবে পুরান ঢাকার ইফতার বাজারে

আজ থেকে শুরু হল পবিত্র মাহে রমজান মাস। সেই সঙ্গে জমজমাট হয়ে উঠবে সারাদেশের ইফতার বাজার। প্রতিদিন বিকালে ইফতার বাজারে শুরু হবে হাঁকডাক। নগর-মহানগর, জেলা কিংবা উপজেলা ছাড়িয়ে ইউনিয়ন বা গ্রামের হাট-বাজারে আজ থেকে বসবে ইফতার বাজার। পারিবারিক ব্যস্ততার কারণে বাসা-বাড়িতে ইফতারি তৈরি করার ঝামেলা এড়াতে অনেকেই ইফতারির বাজার থেকে ইফতার সংগ্রহ করে থাকেন। তবে বাসা- বাড়ির চেয়ে ইফতার বাজারের পণ্য ‘স্বাস্থ্যকর’ না হলেও মুখরোচক। আর সে কারণে অধিকাংশ মানুষের ঝোঁক থাকে ইপ্তার বাজারের দিকে। নানা নামে, নানা গন্ধে নানা উপায়ের ইফতার পণ্য পরিবেশনায় মানুষ আকৃষ্ট হয়। আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে ইফতারি পাঠানোর রেওয়াজও কোন কোন এলাকায় রয়েছে। তবে দেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ইফতারের বাজার মিলে পুরান ঢাকার অলি-গলিতে। রাজধানীতে সবচেয়ে জমজমাট ইফতার বাজার বসে চকবাজারে। রোজা শুরুর আগে থেকেই প্রস্তুতি পর্ব শেষ করেন ইফতার ব্যবসায়ীরা। চকবাজার শাহী জামে মসজিদের সামনে চক সার্কুলার রোডে প্রায় শত বছর আগে থেকে অস্থায়ী দোকান বসিয়ে ইফতার বিক্রি করে আসছেন ব্যবসায়ীরা। এর জন্য নেন নানা প্রস্ততি। এসব ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে ব্যস্ত সময় কাটান পুরো রমজান মাসে।

সারা দিন রোজা রাখার পর ইপ্তারে নানা ধরনের খাবারের পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী খাবারের প্রতিও নগরবাসীর আগ্রহ কম নয়। পুরান ঢাকার চকবাজারে বাহারি ইফতারের প্রতি আলাদা একটি আগ্রহ থাকে রোজাদারদের মধ্যে। আর এসব ইফতার বিক্রির জন্য নানা ধরনের প্রস্তুতি নেন বিক্রেতারা।

সুতি কাবাব, জালি কাবাব, মুঠি জালি কাবাব, নারগিস চাপ, টিকা কাবাব, শাহি জিলাপি ও বোম্বে জিলাপি, ডিম চপ, রোস্ট, দই, বড়া, হালিম, নুরানি লাচ্ছি, পনির, পেস্তা বাদামের শরবত, লাবাং, পরোটা, ছোলা, পিঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, ফালুদাসহ নানা ধরনের বাহারি ইফতারের পসরা নিয়ে বসবেন দোকানিরা। চকবাজার শাহি জামে মসজিদের সামনে চক সার্কুলার রোডে অস্থায়ী দোকান নিয়ে বসেন ইফতার ব্যবসায়ীরা। বছরের পর বছর ধরে প্রতি রমজান মাসে ইপ্তার বিক্রি করে অনেকেই ঈদের খরচ তোলেন। বিকাল গড়াতে না গড়াতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ চক বাজরের ভিড় করেন ইফতার সামগ্রী কিনতে।

শত শত অস্থায়ী দোকানদারের লাখ লাখ টাকার ব্যবসাকে ঘিরে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ভিন্নমাত্রা পায়। অস্থায়ী দোকান বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ইফতারি বিক্রি করছেন এমন অনেকে বলছেন, এবার ইফতার তৈরির পণ্যের মূল্য বেড়ে গেছে। তাই পরিমাণে ছোট করে হলেও আগের দামে বিক্রি করতে হবে। রমজান মাসে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজের চাপ বাড়ে কারিগরদের। রাতের বেলা বাজার- সদায় করে সেহেরির পর থেকেই শুরু হয় ইফতার পণ্য তৈরির প্রস্তুতি। বিকাল গড়াতে না গড়াতে ইফতারির পসরা বিছিয়ে বসে যাবেন ইফতারি ব্যবসায়ীরা।

চকবাজারে নানা চকবাজারের আরেকটি আকর্ষণ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের জুস। পেঁপে, ভাঙ্গি আনারসসহ আরও কয়েক ধরনের জুস থাকবে এবার। এছাড়া থাকবে বিভিন্ন ধরনের আইটেমের হালিম। পুরো রমজানে এ ব্যবস্থা থাকবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত