বাংলাদেশসহ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার ১৯৩টি সদস্য দেশ ও অঞ্চলগুলো প্রতি বছর বিশেষ মর্যাদায় ২৩ মার্চ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস পালন করে আসছে।
আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় করণীয় এবং অনুসরণীয় বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা দিবসটির মূল লক্ষ্য। এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- ‘The Future of Weather, Climate and Water across Generations’. বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে আবহাওয়া, পানি ও জলবায়ুর পরিবর্তন সংক্রান্ত দুর্যোগের প্রভাবে মানুষের জীবন, সম্পদ ও ভৌত অবকাঠামো প্রভাবিত হয়ে থাকে। আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট দুর্যোগের প্রভাব মোকাবিলায় আবহাওয়া ও জলবায়ুর আগাম ও কার্যকর পূর্বাভাস, সতর্কতা সংকেত প্রদান, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম গ্রহণ এবং তথ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গতকাল রাজধানীর বিজয় সরণিতে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০২৩ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান এনডিসি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ উপলক্ষ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সদর দপ্তরসহ গুরুত্ব অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন শাখা অফিস দিবসটি সীমিত আকারে পালনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে আবহাওয়া-সংক্রান্ত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও প্রামাণ্য চিত্র স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মূল গেটসহ অফিস চত্বর বিভিন্ন রকমের আলোর মাধ্যমে সজ্জিত করা হয়। অধিদপ্তরীয় আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা একটি Scientific Session এর আয়োজন করে।
বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে এ বিষয়ে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে। এছাড়া ঢাকা, কক্সবাজার, খেপুপাড়া, রংপুর ও মৌলভীবাজারের অপারেশনাল ইউনিট ও রাডার স্টেশনসমূহ জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়।
