প্রথম রমজান
চট্টগ্রামে জমে উঠেছে ইফতারির বাজার
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রামে গতকাল রমজানের প্রথম দিনেই জমে ওঠে ইফতারির বাজার। নগরীর মোড়ে অলিগলির দোকানে দেখা যায় নানা পদের ইফতারি। এসবের মধ্যে ছিল হালিম, মেজবানি মাংস, বিরিয়ানি, চিকেন সাসলিক, তান্দুরি চিকেন, দইবড়া, রেশমি জিলাপি। মুখরোচক মজাদার এসব ইফতারির দাম ছিল বেশ চড়া। বিক্রেতা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার গত বছরের চেয়ে দাম কিছুটা বেশি। তবে চাহিদা অনুযায়ী মিলেছে ইফতারি। নগরীর চেরাগি পাহাড় মোড়, আন্দরকিল্লা মোড়, বহদ্দারহাট মোড়, আউটার স্টেডিয়াম, দামপাড়া, জিইসি, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায় দোকানের সামনে পসরা সাজানো হয়েছে। ক্রেতারা কোথাও উপচে পড়া ভিড়। তারা কিনছেন নানা পদের ইফতারি। দামপাড়া পুনাক ভবনের হান্ডিতে এবার মাটন হালিম প্রতিকেজি ৭৪০ টাকা, চিকেন হালিম ৭০০ টাকা ও বিফ হালিম ৭২০ টাকা বিক্রি করছেন তারা। মাটন চাপ প্রতিকেজি ১ হাজার টাকা, বিফ চাপ ৯০০, চিকেন বিরিয়ানি ২৫০, হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানি ২৭০, মাটন নেহারি প্রতিটি ২৫০, চিকেন সাসলিক ১০০, চিকেন ফ্রাই ৬০, তান্দুরি চিকেন ১৩০ টাকা বিক্রি করা হয়। হান্ডির পাশে ধাবা রেস্টেুরেন্টে মাটন হালিম কেজি ৭৪০ টাকা, বিফ হালিম ৭২০, চিকেন হালিম ৭২০, দই বড়া ২ পিস ১৭০, শাহি জর্দা ৩২০, শাহি জিলাপি ৪৬০, মাটন ল্যাম্ব রোস্ট কেজি ১ হাজার ৫০০, মাটন নেহারি ১ হাজার ২০০, চিকেন হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানি ৩৫০, রেশমি কাবাব ৮০, বটি কাবাব ৮০, বিফ মেজবানি ১ হাজার ১০০, কাবলি চনা ৩৬০ টাকা বিক্রি হয়।
আউটার স্টেডিয়ামের ‘রোদেলা বিকেল’-এ প্রতিকেজি দেশি চিকেন ও মাটন হালিম বিক্রি হয় ১ হাজার টাকা করে।
মেজবানি গরুর মাংস কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা। জিলাপি ১০০ গ্রাম ১০০, কিসমিস ফিরনি ৫০০ গ্রাম ৩২৫, স্পেশাল পরোটা প্রতিটি ৭০, দেশি চিকেন তান্দুরি প্রতি পিস ৩০০, চিকেন ললিপপ ১০০, বিফ বটি কাবাব প্রতি অর্ডার ২২০, টক দই ৫০০ গ্রাম ২৫০, গরুর নলা প্রতি পিস ২০০, মাটন চুইঝাল প্রতি প্লেট ৫০০ টাকা বিক্রি হয়।
এসব আইটেমের পাশাপাশি বিক্রি হয় সুতি কাবাব, জালি কাবাব, টিক্কাসহ প্রায় ১০-১৫ ধরনের কাবাব। কাবাবের পাশাপাশি বিক্রি হয় ডিম চপ, পেঁয়াজু, চুলা কাবাবসহ বিভিন্ন ইফতারসামগ্রী। মিষ্টির মধ্যে বিক্রি হয় শাহী জিলাপি, মিষ্টি, দইসহ নানা আইটেম।
নগরীর বিভিন্ন স্থানে হোটেল রেস্টেুরেন্টের পাশাপাশি অসংখ্য ভ্রাম্যমাণ দোকান ইফতারির পসরা সাজানো হয়। এসব দোকানে ছোলা, বুট, পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, ডিম চপ, দই বড়া, সবজি পাকোড়া বিক্রি হয়।