‘এখনো গ্রেপ্তার হয়নি আরাভ’
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার আলোচিত আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা (ইন্টারপোল)। তবে দুবাই পুলিশ তাকে এখনও গ্রেপ্তার করেনি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আরও বলেন, আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তাই নোটিশ জারি হলো। তবে এখনও তাকে গ্রেপ্তারের কোনো খবর আমাদের কাছে আসেনি। রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান যেহেতু ভারতের নাগরিক এ ক্ষেত্রে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কোনো সমস্যা হবে কি না জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। এই মুহূর্তে পুরো বিষয়টি বলতে পারব না।
এদিকে, গত শুক্রবার সকালে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ওয়ান্টেড বাই বাংলাদেশির তালিকার শুরুতেই আরাভ খান ওরফে রবিউলের নাম। হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবিও যুক্ত করা রয়েছে তার। ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় আসামি রবিউলের নাম, ছবি ও পরিচয় সংযুক্ত করে প্রকাশ করা হয়েছে। তার বয়স ৩৫ বছর দেখানো হয়েছে। জাতীয়তা দেখানো হয়েছে বাংলাদেশি। তার জন্মস্থান বাগেরহাটে।
উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ে বিলাসী জীবনযাপন ও সোনার দোকান চালু করে সেখানে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে নিয়ে গিয়ে সম্প্রতি আলোচনায় উঠে আসেন আরাভ খান। এরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে পড়েন তিনি। বেরিয়ে আসে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার আসামি তিনি। বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রে আরাভ খানের নাম রবিউল ইসলাম। ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে আরাভ খান নাম ধারণ করে রবিউল দুবাইয়ে পৌঁছান।
এদিকে সম্প্রতি বনানী থেকে বিএনপির বেশ কিছু নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দেয়া হয়। বিএনপি দাবি করেছে, ঘরোয়া অনুষ্ঠানে খেতে গিয়ে বিনা ওয়ারেন্টে তাদের নেতাকর্মীদের আটক করেছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে। বিনা ওয়ারেন্টে বিএনপি নেতাকর্মীদের আটকের পর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো কতটা আইনসিদ্ধ হলো? জবাবে আইজিপি বলেন, ওয়ারেন্ট ছাড়া কি কাউকে গ্রেপ্তার করা যায় না? পুলিশ যা করেছে আইন মেনেই করেছে। বাংলাদেশে আইন মেনেই সব করছে পুলিশ। বিএনপি দাবি করেছে বিরোধী দলকে সংক্ষুব্ধ করতে, বাধা দিতেই এভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা বনানীতে কী ধরনের সন্ত্রাসী কাজ করছিলেন- এমন প্রশ্নে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, এফআইআর দেখলে বুঝতে পারবেন যে কী ধরনের মামলা হয়েছে। এরপরও এটার বিষয়ে তদন্ত হবে। তদন্তের পরে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
এর আগে গত ১৯ মার্চ দিনগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর বনানী ক্লাব থেকে বিএনপির ৫৫ নেতাকর্মীকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবির এই অভিযানে বনানী থানা পুলিশও সঙ্গে ছিল।
পুলিশ জানায়, বনানী ক্লাবে বসে বিএনপির এই ৫৫ নেতাকর্মী রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনা করছিলেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাদের আটক করে। পরে তাদের মধ্যে ৫৩ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।