পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই বারবার আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন। তবে তাতে কান দেয়নি ক্ষমতাসীন সরকার। বরং আগামী আগস্টের জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার চিন্তা করছে তারা। এটি আটকাতে সম্প্রতি সুপ্রিমকোর্টের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পিটিআই চেয়ারম্যান। তবে যথাসময়ে নির্বাচন আয়োজন না করার পক্ষে এবার নতুন যুক্তি দেখাচ্ছে পাকিস্তান সরকার।
তারা বলছে, নির্বাচন আয়োজনের জন্য পাকিস্তানি অর্থ মন্ত্রণালয়ের তহবিলে পর্যাপ্ত টাকা নেই। শুক্রবার পাকিস্তানি তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেবের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।
পাকিস্তানি সম্প্রচারমাধ্যম এআরওয়াই নিউজের খবরে বলা হয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে খাজা আসিফ দাবি করেন, পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের হত্যাচেষ্টার ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ইমরান খানই সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন এবং এখন তাকে দোষারোপ করছেন। তার আগে ইমরান তার ক্ষমতাচ্যুতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে মিথ্যা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিয়েছিলেন। তবে সুপ্রিমকোর্ট হস্তক্ষেপ করে দেশকে সাংবিধানিক সংকট থেকে বাঁচিয়েছে।
খাজা আসিফ আরও বলেন, প্রাদেশিক পরিষদগুলো অসাংবিধানিকভাবে ভেঙে দিয়েছিলেন ইমরান খান। কিন্তু তাকে সাংবিধানিকভাবেই অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে তার আসন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল এবং এখন তিনি আদালতে হাজির হতে চান না।
পিটিআই চেয়ারম্যান তার তিন বছরের শাসনামলে বহু পিএমএল-এন নেতাকে জেলে ঢুকিয়েছিলেন অভিযোগ করে পাকিস্তানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, ইমরান খানের শাসনামলে তিনিও জেলে গিয়েছিলেন এবং তার দলের অন্য নেতারা ভুয়া মামলায় আদালতের মুখোমুখি হন।
তিনি বলেন, ইমরান খান প্রতিদিন সংকট তৈরি করছেন আর সরকার তা মোকাবিলা করছে। পাকিস্তান খুব শিগগির সব সংকট থেকে বেরিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী।