রাহুলকে অযোগ্য ঘোষণা

ভারতজুড়ে সমর্থকদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ

প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

ভারতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে এমপি পদ থেকে অযোগ্য ঘোষণার প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভ করেছেন তার কর্মী-সমর্থকরা। মানহানির মামলায় ২ বছরের কারাদণ্ডের পর গত সপ্তাহে রাহুলকে এমপি পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। ২০১৯ সালে একটি নির্বাচনি সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বংশীয় পদবি নিয়ে মন্তব্যের জন্য গুজরাটের একটি আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে।

কংগ্রেস এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে সমালোচনা করেছে। তবে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, সংসদীয় নিয়মেই বহিষ্কার হয়েছেন রাহুল।

কংগ্রেসের কয়েক’শ নেতা দ্বিতীয় দিনের মতো গতকাল দিল্লিতে রাহুলের অযোগ্যতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। হিমাচল, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং গুজরাট রাজ্যেও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন দলীয় কর্মীরা।

দিল্লিতে বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা সংসদ চত্বরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে যোগ দেন। গত সপ্তাহে রাহুলকে অযোগ্য ঘোষণার পর থেকে তাদের মধ্যে অনেকেই পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ- লোকসভার প্রথম অধিবেশনে কালো পোশাক পরেছিলেন। লোকসভার ভেতরও বিক্ষোভ হয়েছে। এর ফলে দিনের বেলা বেশ কয়েক দফা অধিবেশন স্থগিত করা হয়। অধিবেশনের আগে কংগ্রেস এমপি প্রমোদ তিওয়ারি ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ভিন্নমতকে দমিয়ে রাখার জন্য অভিযোগ তোলেন। তিওয়ারি বলেন, ‘যখন আমরা সংসদে কথা বলি, তারা তখন কার্যক্রম চালাতে দেয় না। আমরা যখন বাইরে কথা বলি, তারা দলের নেতাদের অযোগ্য ঘোষণা করে দেয়।’

রাহুল গান্ধী দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার ওয়ানাদ থেকে কংগ্রেস পার্টির এমপি ছিলেন। ৫২ বছর বয়সী এই নেতা নেহরু-গান্ধী পরিবারের সদস্য। এ পরিবার থেকে তিনজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে ভারত। দেশটির আগামী নির্বাচন যখন দরজায় কাড়া নাড়ছে, ঠিক তখনই রাহুলকে অযোগ্য ঘোষণা করে লোকসভা।

আদালত রাহুলকে ৩০ দিনের জন্য জামিন দিয়েছে। রাহুলের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আদালতের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন তারা। রাহুল তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করলেও তার সমর্থকরা বলেছেন, নেতার এই অযোগ্যতা ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ার লক্ষণ।

রাহুলের বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী গত রোববার বলেছিলেন, তার ভাইকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। কারণ, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে গৌতম আদানির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সূত্র : বিবিসি