ঢাকা ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৩ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পদ্মা রেল সেতু

পরীক্ষামূলক বিশেষ ট্রেন চালানো হবে ৪ এপ্রিল

পরীক্ষামূলক বিশেষ ট্রেন চালানো হবে ৪ এপ্রিল

আগামী ৪ এপ্রিল পদ্মা সেতুসহ মাওয়া-ভাঙ্গা সংযোগ রেলপথে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

গতকাল বিষয়টি জানান রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. শরিফুল আলম। তিনি বলেন, ৩০ মার্চ সেতুতে কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি না হওয়ায় ৪ এপ্রিল পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হবে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন জানান, পদ্মা সেতুর ওপর মাত্র ৭ মিটার কাজ বাকি আছে। এখানে শুধু স্লিপার বসানোর কাজ বাকি। এটা হয়ে গেলেই আমার পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালু করতে পারব।

এদিকে গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে জানানো হয়, নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হচ্ছে পদ্মা রেল সেতুর নির্মাণকাজ। ২০২৪ সালের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। তবে আগামী জুনেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন জানিয়েছেন, এর আগে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে শরীয়তপুরের পদ্মা সেতু সংযোগ রেলপথে একটি ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটি জুন, ২০২৪ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। আমরা এরই মধ্যে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ করেছি। রেল সংযোগ নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।’ তিনি বলেন, ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকায় ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন দিয়ে যশোরের সঙ্গে রাজধানীর সংযোগ স্থাপনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, চীনের এক্সিম ব্যাংক ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা ঋণ দেবে। চীন সরকার মনোনীত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড চায়না জিটুজি সিস্টেমের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

প্রকল্পটি সম্পন্ন করার পর, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় দেশের মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকা এবং পদ্মা সেতুর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল জেলার নতুন এলাকাজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে ঢাকা-যশোর-খুলনার মধ্যে ২১২ কিলোমিটার সংক্ষিপ্ত রুট এবং উন্নত পরিচালন সুবিধার বিকল্প রেলপথ সংযোগ স্থাপিত হবে। এটি বাংলাদেশে ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আরেকটি সাব-রুট স্থাপন এবং জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মালবাহী এবং বিজি কনটেইনার ট্রেন পরিষেবা চালু করবে। এই রুটটি কনটেইনার পরিবহণের ক্ষেত্রে গতি এবং লোড সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হবে। সরকার ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের অনুমোদন দেয় এবং এটি একটি ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত