নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র রুখবে ১৪ দল

প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিবাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোনো ষড়যন্ত্র হলে তা রুখতে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের নেতারা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন তারা।

গতকাল দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, আমাদের সংবিধান নিয়ে যারা কথা বলে তারা জাতীয় শত্রু। সংবিধান নিয়ে কথা বলার বিরুদ্ধে যে আইন রয়েছে; সেই আইনে তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হয় না? যারা দেশের স্বাধীনতাণ্ডসার্বভৌমত্ব দেশের অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলে সেই আইনে কেন

তাদের গ্রেপ্তার করা হয় না? কেন তাদের সেই আইনে শাস্তি দেয়া হয় না? এটাই আজ আমাদের জিজ্ঞাসা। সেই আইন যথাযথ প্রয়োগ করে জনগণের সামনে স্বাধীনতাবিরোধীদের শাস্তি দেয়া হোক। তিনি বলেন, আমরা ১৪ দল স্বাধীনতার পক্ষে। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে এবং বঙ্গবন্ধু রচিত সংবিধানের পক্ষে কাজ করে আসছি। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবিচলভাবে জাতীয় চার মূলনীতির ভিত্তিতে আমরা এগিয়ে যাব।

এসময় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, একাত্তরের যুদ্ধ কয়েকটি রাজনৈতিক সমাধান করেছিল সংবিধানের চার নীতি, মুক্তিযুদ্ধের চার নীতি, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, বাংলাদেশের নাম, জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা এসব মীমাংসিত ঘটনা। পঁচাত্তরের পর বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীরা ছয়টি জঘন্য অপরাধ করেছে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, একাত্তরের রাজাকারদের ভাগাড় থেকে টেনে নিয়েছে। একাত্তরের সামরিক শাসনের ঔরসে জন্মলাভ করা বিএনপি ও একাত্তরের রাজাকার জামায়াত এই দুই রাজাকারের সরকার গঠনের প্রস্তাব মহাবিপদ ও অশনি সংকেত। তাদের একচুল ছাড় দেব না।

সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ৯ মাস পর জাতীয় নির্বাচন, তা নিয়ে বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র চলছে।

বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে স্বাধীন নির্বাচন দেখতে চায়, আমরাও দেখতে চাই। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র একাত্তরে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীকে অস্ত্র দিয়ে রক্তের হোলিখেলা করেছে।

জাতীয় পার্টি- জেপি সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, বিএনপি রাষ্ট্র মেরামত করতে ১০, ২৭ দফা দিচ্ছে। কে মেরামত করবে, সে তো লন্ডনে। লন্ডন থেকে আবার ষড়যন্ত্র চলছে, সদা সতর্ক থাকতে হবে। সরকারের বদনাম করার জন্য দুর্নীতিতে লিপ্ত রয়েছে অনেকে, তাদের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রী পার্টির শাহাদাৎ হোসেন বলেন, দেশকে তারা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, তাদের সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে। চোরাগোপ্তা পথে কিছু হবে না, লড়াই হবে রাজপথে।

ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি - ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ বলেন, সারা বাংলাদেশে ১৪ দলীয় কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দেব। ১৪ দলকে সুসংগঠিত করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী করতে হবে।

সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, কোনো অসাংবিধানিক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচনকালীন সরকার নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন করবে। কমিশন স্বাধীনভাবে এ নির্বাচন পরিচালনা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এসকে সিকদার, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, গনতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।