অন্যরকম

দিনে ২২ ঘণ্টা ঘুমান নারী জাগলেই হয় হ্যালুসিনেশন!

প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

ঘুম ভাঙতেই চায় না। ঘুমের মধ্যেই অন্য জগতে চলে যান এক নারী। কেউ ডেকে না দিলে সে ঘুম নিজে থেকে ভাঙতে চায় না। সারা দিনে ২২ ঘণ্টা ঘুমিয়েই কাটে। ঘুম ভাঙলেই গায়ে কাঁটা দেয়, কখনও মনে হয় হাজার হাজার মাকড়সা হেঁটে বেড়াচ্ছে সর্বাঙ্গে। কী হয়েছে ওই নারীর? ব্রিটেনের বাসিন্দা জোয়ান্না কক্স নামের ওই নারী দিনে ২২ ঘণ্টা ঘুমান। এমনকি তিনি সপ্তাহে চার দিন ঘুম থেকে উঠেছেন এমন ঘটনাও হয়েছে। সায়েন্স ম্যাগাজিনে ওই নারীকে ‘রিয়েল লাইফ সিøপিং বিউটি’ বলা হয়েছে। ঘুম মানেই আরাম। সারা দিনের পরিশ্রমের পরে গা এলিয়ে দিলেই নিশ্চিন্তের ঘুম নেমে আসে দু’চোখে। যাদের ঘুম কম হয়, তারা রীতিমতো ওষুধ খেয়ে, মেডিটেশন করে ঘুমানোর চেষ্টা করেন। শরীর তরতাজা রাখতে মন ও মস্তিষ্কেরও বিশ্রাম দরকার। সে জন্যই ঘুম। ঘুম না হলেই বরং বিপদ। শরীর ভাঙবে, নানা অসুখ জাঁকিয়ে বসবে, স্ট্রেস-অবসাদ মনকে ফালা ফালা করে দেবে। কিন্তু ব্রিটেনের ওই নারীর কাছে ঘুম মানেই আতঙ্ক। ঘুমাতে ভয় পাচ্ছেন তিনি। কিন্তু না ঘুমিয়েও উপায় নেই। সারা দিন শরীরজুড়ে ক্লান্তি, সব সময়েই যেন দু’চোখের পাতা ভারি হয়ে আসে তার। জোয়ান্না জানেন, এ ঘুম নয়, কালঘুম। একবার ঘুমালে নিজে থেকে জাগতেই পারবেন না। কখনও যদি আর ঘুম না ভাঙে, এই চিন্তা মানসিকভাবে অসুস্থ করে দিচ্ছে তাকে। সেই সঙ্গে হ্যালুসিনেশনের আতঙ্কও আছে। ঘুমের মধ্য়েই স্লিপিং প্যারালাইসিস হয়, গায়ে কাঁটা দেয়, ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্ন আসে। চোখ মেললে মনে হয় সারা শরীরে কীট-পতঙ্গ হেঁটে বেড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তরুণী যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তার নাম চিকিৎসার পরিভাষায় ইডিওপ্যাথিক হাইপারসমনিয়া। এই অতিরিক্ত ঘুম এক ধরনের অসুখ। মস্তিষ্কের হতে পারে, আবার মনেরও হতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এর অনেক ধরন। এমনিতে সাধারণ মানুষের টানা সাত থেকে আট ঘণ্টা নি- িদ্র ঘুম দরকার। আর যদি অতিরিক্ত ঘুম হয়? তাহলেই গ-গোল। ঘুম না এলেও যেমন সমস্যা, তেমনই বেশি এলেও সমস্যা- এই দুইই হয় স্লিপিং ডিসঅর্ডারের জন্য। যার শরীরে যেমন অস্বস্তি তার রোগের ধরনও তেমন। টানা ১৫ ঘণ্টার বেশি বা ২৪ ঘণ্টা একটানা ঘুম মানে সেটা হাইপারসমনিয়ার লক্ষণ। হাইপারসমনিয়া হল নিউরোলজিক্যাল সিøপিং ডিসঅর্ডার। হাইপারসমনিয়া হলে দিনের বেলাতেও জেগে থাকা বেশ কষ্টসাধ্য। চোখের পাতা সবসময়েই ভারী হয়ে আসে। সারাদিনের বেশিটা সময়েই ঘুমাতে ইচ্ছে করে। এই হারপারসমনিয়া নানা কারণে হতে পারে। সিøপ অ্যাপনিয়া থাকলে, কিডনির অসুখ হলে, মাথায় কোনো রকম আঘাত লাগলে তার থেকেও হতে পারে। আবার অতিরিক্ত মদ্যপান, ওবেসিটি, অবসাদ থাকলে তার থেকেও হাইপারসমনিয়া হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সূত্র : ইন্টারনেট