উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘আধিপত্য বিস্তারের জেরে’ দুষ্কৃতিকারিদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে রোহিঙ্গা এক বৃদ্ধ নিহত এবং এক শিশু আহত হয়েছে।
উখিয়ার থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, গত শুক্রবার মধ্যরাত ২টায় উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ৮-ডব্লিউ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত উখিয়ার বালুখালী ৮-ডব্লিউ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের বাসিন্দা মৃত মোহাম্মদ কাশিমের ছেলে ছৈয়দ আলম (৬১)। ঘটনায় আহত হয়েছে উখিয়ার কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকের বাসিন্দা নুরুল আমিনের ছেলে তাইফুর (১২)।
স্থানীয়দের বরাতে শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, শুক্রবার মধ্যরাতে উখিয়ার বালুখালী ৮-ডব্লিউ নম্বর ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারি দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুষ্কৃতিকারিদের এলোপাতাড়ি গুলিতে ঘটনাস্থলে এক বৃদ্ধ নিহত এবং এক শিশু গুলিবিদ্ধ হয়। খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশ ও উখিয়া থানা পুলিশের পৃথক দুটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুষ্কৃতিকারিরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে একজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ এবং এক শিশুকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আহত শিশু উখিয়ার কুতুপালংস্থ এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান শেখ মোহাম্মদ আলী। কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য বলেছে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১২৯টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এর সাথে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ১৮টি হত্যাকাণ্ড হলো।