মহাসড়ক সংস্কার
ঈদের আগে শেষ না হলে তীব্র যানজটের আশঙ্কা
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ
ঈদের আগে সিরাজগঞ্জে মহাসড়কের সংস্কারকাজ শেষ না হলে তীব্র যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। এতে এবার ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ বছর মহাসড়কের উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় ১৪ টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান শনাক্ত করা হয়েছে। এ মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান শনাক্ত করেছে জেলা পুলিশ। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় থেকে হাটিকুমরুল হয়ে চান্দাইকোনা মহাসড়কে প্রায় ৫১ কিলোমিটারজুড়ে ২০টি স্থান সংস্কারে জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। তবে ১৪টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ভয়াবহ যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। প্রতি বছরই ঈদযাত্রায় উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সবকয়টি জেলার যানবাহন চলাচল করে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়ক দিয়ে। এ কারণে বাড়তি চাপ বাড়ে এ সংযোগ মহাসড়কে। তবে এ সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে সংস্কার করা হবে। বিশেষ করে বাস ও ট্রাক চালকরা বলেছে, মহাসড়কের কাজ সম্পন্ন করা হলে ঈদ যাত্রায় স্বস্তি ফিরবে। উত্তবঙ্গের ১৬ জেলার মানুষ ঈদযাত্রায় রাজধানী ঢাকা থেকে ফিরতে ব্যবহার করে এ মহাসড়ক। প্রতিদিন এ মহাসড়কে ১৬ থেকে ২০ হাজার যানবাহন চলাচল করছে এবং ঈদে ৩০ থেকে ৪০ হাজার যানবাহন চলাচল করে থাকে। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় সংযোগ মহাসড়ক চার লেনে প্রসস্তকরণ ও সংস্কার কাজ চলছে। এতে এরই মধ্যে মহাসড়কে যানজট ও ধীরগতি দেখা দিচ্ছে। এছাড়া নবনির্মিত নলকা সেতুর উত্তরের লেন খুলে দিলেও ঢাকামুখি লেন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ পুরোনো সেতু দিয়েই চলাচল করছে যানবাহন। এ কারণে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আকতার জেভি প্রকল্পের ম্যানেজার এখলাস উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপারের সাথে ইতিমধ্যেই আলোচনা হয়েছে। মহাসড়কের যেসব স্থানে খানাখন্দ রয়েছে সেসব স্থান দ্রুত মেরামত করা হবে। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ১৫ রমজানের মধ্যে চার লেনের নতুন সড়ক খুলে দেয়া হবে। স্থানীয় সওজ বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন, ঈদের আগে মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে সংস্কারকাজ তদারকি করা হচ্ছে। হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি বদরুল কবির বলেন, সাসেক-২ এর কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাথে জেলা পুলিশের সাথে দুই দফা আলোচনা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় থেকে চান্দাইকোনো পর্যন্ত ১৪টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থান দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন তারা। ঈদ উপলক্ষ্যে মহাসড়কে ১০টি হুন্ডা মোবাইল টিম, ১৬টি পিকেট টিম কাজ করবে। সেই সাথে মাইকিং ও জিডিটাল সাইনবোর্ড লাগানো হবে। এবার ঈদে সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে ১৪৪ জন পুলিশ সদস্য যানজট নিরসনে অংশ নিচ্ছে এবং সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে যানজট মুক্ত রাখতে জেলা পুলিশের সাথে আলোচনা হয়েছে। মহাসড়কে ১৫ থেকে ১৮টি মোবাইল টিম থাকবে। এরই মধ্যে যানজট নিরসনের কাজ শুরু করা হয়েছে। জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, মহাসড়কে প্রায় ১৪টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। সাসেক-২’র কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাথে ইতিমধ্যেই আলোচনা করা হয়েছে। সেসব স্থান তারা দ্রুত সংস্কার করে দেবে। ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে তারা উল্লেখ করেন।