কৃষিমন্ত্রী কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রাশিয়ায় আগামী বছর দেড় থেকে দুই লাখ টন আলু রপ্তানি হবে। তিনি আরও বলেন, দেশের আবহাওয়া ও মাটি আলু উৎপাদনের জন্য খুবই অনুকূল। বর্তমানে বছরে এক কোটি টনের বেশি আলু উৎপাদন হচ্ছে। আমাদের প্রয়োজন বছরে ৮০ লাখ টন, বাকি ২০ লাখ টন রপ্তানি করার সুযোগ রয়েছে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ ও রাশিয়ার পক্ষে ন্যাশনাল গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার মিয়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, রাশিয়ায় দীর্ঘদিন আলু রপ্তানি বন্ধ ছিল। এখন আমাদের আলু রোগজীবাণু মুক্ত ও নিরাপদ করেছি। এই নিশ্চয়তা পেয়েই রাশিয়া রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এবছর খুব বেশি না হলেও, আগামী বছরে দেড় থেকে দুই লাখ টন আলু রপ্তানি হবে এসময় কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি, বিএডিসির সদস্য পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, আলুতে ক্ষতিকর ব্রাউনরট রোগের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় ২০১৪ সাল থেকে আলু রপ্তানিতে রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আলুকে ব্যাকটেরিয়ামুক্ত ও নিরাপদ করতে বাংলাদেশ সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ২০২২ সালের মার্চে রাশিয়া এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। এ সিদ্ধান্তের ফলে রাশিয়ায় বাংলাদেশের আলু রপ্তানির একটি বিশাল দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। ২০১৫ সালে সর্বশেষ রাশিয়ায় ২০ হাজার টন আলু রপ্তানি হয়েছিল। দেশে ২০২০-২১ সালে আলু উৎপাদন হয়েছে ৯৯ লাখ টন, রপ্তানি হয়েছে ৬৮ হাজার ৭৭৩ টন, ২০২১-২২ সালে উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ২ লাখ টন, রপ্তানি হয়েছে ৭৮ হাজার ৯১০ টন আর ২০২২-২৩ সালে উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ১১ লাখ টন, রপ্তানি হয়েছে (জানুয়ারি পর্যন্ত) ১৩ হাজার টন।