সংসদে ওবায়দুল কাদের

পদ্মা সেতু থেকে ৯ মাসে ৬০৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার টোল আদায়

প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

পদ্মা সেতু থেকে গত ৯ মাসে ৬০৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার টোল আদায় হয়েছে বলে জনিয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

গতকাল জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী জানান, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মাসেতু চালুর পরে গত মার্চ পর্যন্ত ৬০৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে। ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর পরে গত মার্চ পর্যন্ত ৭ হাজার ৬৯৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা এবং ২০০৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তারপুর সেতু চালুর পরে এখন পর্যন্ত ২০৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদেব জানান, বর্তমানে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কোনো গবেষণামূলক কার্যক্রম চলমান নেই।

বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে গবেষণা প্রকল্পের অনুমোদন চলমান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ৩৬০ মিলিয়ন ডলারে বাংলাদেশ সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচি প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে, যার অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন। এ প্রকল্পে আইআরএপি (ইন্টারন্যাশনাল রোড অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম) স্টাডির মাধ্যমে দেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোর সড়ক নিরাপত্তার পরিপ্রেক্ষিতে রেটিং প্রদান বিষয়ক গবেষণামূলক কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত আছে।’

তিনি বলেন, ‘এ কার্যক্রমের আওতায় সড়কের নিরাপত্তা ও জিওমেট্রির ভিত্তিতে বিভিন্ন জাংশনে উন্নয়নের সংস্থান রাখা হয়েছে। প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে তা ২০২৭ সালের ৩০ নভেম্বর নাগাদ বাস্তবায়ন হবে।’

নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদেব জানান, ঢাকা মহানগরে বিআরটিসিসহ বেসরকারি বিভিন্ন পরিবহণ কোম্পানির প্রায় ৬ হাজার বাস চলাচল করে। বিআরটিসির কিছু সংখ্যক রুটে ই-টিকেটিং চালু আছে। এ ছাড়া ৯৭টি বেসরকারি পরিবহন কোম্পানির মধ্যে ৬৯টি কোম্পানির ৩ হাজার ৩০০ বাসে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির তত্ত্বাবধানে ই-টিকেটিং চালু করা হয়েছে। বিআরটিএ এ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘শিগগিরই অবিশিষ্ট কোম্পানির বাসে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম মহানগরীতে এই সেবা দেয়া হবে।’