ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদের জামিন স্থগিত

ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদের জামিন স্থগিত

দুর্নীতির মামলায় ৫ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ২৯ মে পর্যন্ত জামিনাদেশ স্থগিত করেন।

আদালতে আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন শাহ মঞ্জুরুল হক ও ব্যারিস্টার হুমায়ূন কবির পল্লব। গত ৫ এপ্রিল বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন দেন। এ জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক।

গত ৩ নভেম্বর বজলুর রশীদের খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য নেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তার জরিমানা স্থগিত করে নিম্ন আদালতের নথি তলব করেন। এ আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি জামিন চেয়ে আবেদন করেন। গত ২৭ নভেম্বর তার জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট। গত ২৩ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন ওই রায় দেন। ৫ বছর দণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া রাষ্ট্রের অনুকূলে তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।

২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর বেলা ১১টা থেকে বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে দুদক পরিচালক মো. ইউসুফের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।

২০২০ সালের ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দীন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই সালের ২২ অক্টোবর মামলায় বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বজলুর রশীদ রূপায়ন হাউজিং এস্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরোন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের ২ হাজার ৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য বাবদ ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধও করেছেন। এই অ্যাপার্টমেন্ট কেনায় বজলুর রশীদ যে টাকা পরিশোধ করেছেন, এর সপক্ষে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।

এমনকি তিনি অ্যাপার্টমেন্টের ক্রয়-সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার আয়কর নথিতে দেখাননি। পরিশোধিত ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। কারা ক্যাডারের ১৯৯৩ ব্যাচের কর্মকর্তা বজলুর রশীদ ঢাকায় কারা সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত