ঈদে প্রস্তুত হচ্ছে রেলের ১০০ কোচ

প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নীলফামারী প্রতিনিধি

ঈদুল ফিতরে বাড়িফেরা মানুষের কষ্ট কমাতে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় মেরামত করা হচ্ছে ১০০টি কোচ। এর মধ্যে ৭৫টি কোচ হস্তান্তর করা হয়েছে পাকশি রেলওয়ে বিভাগ ও লালমনিরহাট বিভাগে। ১৮ এপ্রিলের মধ্যে বাকি কোচগুলো হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। ওয়েলডিং শ্রমিক ফিরোজ গোসেন বলেন, ‘আমাদের দম ফেলানোর সময় নাই। কাজের চাপ খুব। রমজানে সবার কাজের সময় কমেছে কিন্তু আমাদের বেড়েছে। মানুষ ঈদে এই কোচে করে বাড়ি ফিরবে এটাই ভালো লাগা।’

মোবারক হোসেন নামে আরেক শ্রমিক বলেন, ‘এখানে আমরা অনেক কাজ করছি। যে গতিতে কাজ করছি আমাদের টার্গেট ১০০টা বগি হয়ে যাবে। তারও বেশি হতে পারে।’ মেশিন অপারেটর সিহাব হোসেন বলেন, ‘আমাদের আনন্দের জায়গা হলো এই কোচগুলোতে মানুষ নিরাপদে বাড়ি ফিরবে। যেভাবে আউটকাম দিচ্ছি ইনশাআল্লাহ আমাদের টার্গেট পূরণ হবে। আমাদের কাজ এরই মধ্যে ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে।’ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার সিএইচ আর শপের উপসহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সোহেল রানা বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষ্যে ১৭টি মিটার গেজ কোচ টার্গেট ছিল আমাদের। এর মধ্যে ১৪টি কোচ আউটটার্ন করে ডিভিশনে হস্তান্তর করেছি। বাকি তিনটি কোচও নির্ধারিত সময়ের আগেই হস্তান্তর করতে পারব।’ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ শপ ইনচার্জ মোকিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ১০০টি কোচের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এরই মধ্যে ৭৫টি কোচ হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিটা আমরা ১৮ এপ্রিলের মধ্যেই দিয়ে দেব। ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের যে প্রত্যাশা আমাদের ওপর আছে, সেই প্রত্যাশা পূরণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সেদিক থেকে অনেক চাপ আছে।’

তিনি বলেন, ‘লোকবলের অনেক সংকট রয়েছে। মোট ২৩ শতাংশ লোকবল আছে। আর ৫০০ দৈনিক মজুরির শ্রমিক নিয়ে কাজ করছি। আমরা চেষ্টা করছি যেন এই কোচগুলোতেই নিরাপদে মানুষজন বাড়ি ফিরতে পারে।’

জিএইচ শপের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অল্প জনবল নিয়ে সকাল ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কাজ করছি। এরই মধ্যে ৭৫টি কোচ আমরা হস্তান্তর করতে সক্ষম হয়েছি। বাকিগুলো ১৩-১৫ এপ্রিলের মধ্যে দেয়ার চেষ্টা করব।’

তিনি আরো বলেন, ‘সব থেকে বড় কথা হলো রোজার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমরা একদিনও ছুটি কাটাইনি। তবে ঈদে মানুষের জন্য কাজ করতে পারছি এজন্য নিজেকে ধন্য মনে করছি।’ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমান মুঠোফোনে জানান, রোজা থেকেও শ্রমিকরা উৎসাহ নিয়ে কাজ করছেন। ১ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল ৪০ কর্মদিবস। এই কর্মদিবসের মধ্যে আমাদের টার্গেটের সব কোচ হস্তান্তর করতে পারব।