চন্দনাইশে বেপরোয়া ভূমিদস্যু
দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার সাংবাদিক চমেকে ভর্তি
প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ এলাকায় ভূমিদস্যুরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পাহাড়ের মাটি কাটার সংবাদ প্রকাশ করায় এক সাংবাদিককে পিটিয়ে ভবন থেকে নিচে ফেলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার শিকার জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকের চন্দনাইশ প্রতিনিধি আইয়ুব মিয়াজীর (৩৪) পাঁজরের তিনটি হাড় ভেঙে গেছে। তিনি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ৪ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার দোহাজারী রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন আর কে প্লাজায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ২০-২৫ জন দুর্বৃত্ত অংশ নেয়। সাংবাদিককে ভবন থেকে ফেলে দেয়ার একটি সিসিটিভি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় মামলা হলেও গতকাল পর্যন্ত জড়িত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। আহত সাংবাদিক আইয়ুব মিয়াজী বলেন, চন্দনাইশ উপজেলার জামিজুরি ইউনিয়নের উত্তর জামিজুরি আদর্শ গ্রাম, পূর্ব জামিজুরি আনসার আলী পাড়া ও জঙ্গল জামিজুরি এলাকায় পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির ঘটনার সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এ সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এর জেরে স্থানীয় একজন প্রভাবশালীর নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায়। তিনি জানান দুই মাস ধরে জামিজুরি এলাকায় ব্যক্তিগত ও সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত পাহাড় কাটা হচ্ছে। তিনি বলেন, হামলাকারীরা আর কে প্লাজায় তার কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ভাঙচুর করে। এ সময় তারা তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যারও চেষ্টা চালায়। দুর্বৃত্তরা এ সময় ৫০ হাজার টাকা, দুটি মোবাইল ফোন, চারটি ল্যাপটপ নিয়ে যায়। হামলার ঘটনায় ওইদিন রাতে আইয়ুব মিয়াজীর বাবা আবদুস শুক্কুর বাদী হয়ে চন্দনাইশ থানায় মামলা করেন। তবে পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
আইয়ুব মিয়াজীকে প্রথমে দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। চন্দনাইশ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, সাংবাদিক আইয়ুব মিয়াজীর ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এদিকে আইয়ুব মিয়াজীর ওপর হামলার প্রতিবাদে দোহাজারী পৌর সদরে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। সমাবেশে সাংবাদিকরা বলেন, একজন গণমাধ্যমকর্মীকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মারধর করে ভবন থেকে নিচে ফেলে দেওয়ার তথ্যপ্রমাণ ও ভিডিও ফুটেজ থাকার পরও আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।