বাক স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বলতে বিএনপি যেটা বোঝায়, আদতে সেটা নয় বলে মন্তব্য করে সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, শিক্ষিতের হার ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির অবস্থার উপর ভিত্তি করে বাক স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দেয়া উচিত। গতকাল শনিবার জাতীয় সংসদের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ১৪৭ বিধিতে উত্থাপন করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। শাজাহান খান বলেন, দার্শনিক হ্যারল্ড লাস্কি বলেছেন, বাক স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কথাটা আপেক্ষিক। কোনো দেশের সমাজ কতটা স্বাধীনতা ভোগ করবে, তা নির্ভর করবে তার সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার উপর। যে দেশ যতটা শিক্ষিত নাগরিক অধিকার অত্যন্ত সচেতন, অর্থনৈতিক দিক থেকে উন্নত সেখানে বাক স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ততটা উন্নত। শিক্ষা ও সামাজিক সচেতনতা এবং আর্থিক ব্যবস্থায় অনগ্রসর দেশে ততটা বাক স্বাধীনতা আশা করা অন্যায়। এই স্বাধীনতা অনগ্রসর দেশে দেওয়া হলে তা হবে শিশুর হাতে খুন্তি তুলে দেয়ার মতো।
তিনি বলেন, এই কথার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় বাক স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বলতে বিএনপি যা বোঝায় তা কিন্তু নয়। আমরা মনে করি, আমাদের দেশের যে অর্থনৈতিক অবস্থা, শিক্ষিতের হার, অর্থনৈতিক অগ্রগতির যে অবস্থা তার উপর ভিত্তি করে বাক স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দেয়ার কথা। তা না হলে যে কথা বলেছেন হ্যারল্ড লাসকি; তা হবে শিশুর হাতে লোহার খুন্তি তুলে দেয়ার মতো।
বিএনপি-জামায়াতসহ সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান শাজাহান খান। তিনি বলেন, ‘শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন আছে। তার অধীনে নির্বাচন হবে। রাষ্ট্র চলবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
বর্তমানে দেশে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে সরকারদলীয় আরেক সদস্য তানভীর শাকিল জয় বলেন, ‘আজকে আমাদের মহান স্বাধীনতা, স্বাধীনতা যুদ্ধকে অপমান করা হয়। আজকে স্বাধীনতা দিবসকে অপমান করে বিকৃতভাবে চাইল্ড এক্সপ্লোটেশনের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়।
তিনি বলেন, ‘আমি সেসব সুশীল বাবু এবং তাদের পত্রিকার কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, যখন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল, তখন স্বাধীনতার চেতনা কোথায় ছিল? যখন ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল তখন স্বাধীনতা কোথায় ছিল? যখন বাংলাদেশে সারের জন্য কৃষকদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল, যখন বিদ্যুতের জন্য সাধারণ মানুষকে গুলি করা হয়েছিল তখন স্বাধীনতা কোথায় ছিল? তখনতো আপনাদের বোধোদয় হয় নাই, তখনতো আপনারা স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলেন নাই। এখন আপনারা স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলেন।