বাস-ট্রেনের পর এবার ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে লঞ্চের। আগামী ১৭ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে এই টিকিট বিক্রি। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে যাত্রা ও ফিরতি টিকিটও পাওয়া যাবে এ সময়। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিদ্দিকুর রহমান জানান, ১৭ এপ্রিল থেকে লঞ্চের কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২৭ থেকে ৩০ রমজানের টিকিট যাত্রীরা অগ্রিম সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে ডেকের যাত্রীরা যাত্রার দিনেই টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন বলে জানান তিনি। এদিকে এবারের ঈদযাত্রায় যাত্রীদের জন্য ভাড়া বাড়ছে না বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক। কারণ ব্যাখ্যা করে সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, লঞ্চের যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে। ভাড়া বাড়ানোর কোনো প্রশ্নই আসে না। লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দীন বলেন, এখনও স্পেশাল সার্ভিসের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। চাহিদা থাকলে ঈদের কয়েক দিন বিশেষ ট্রিপ চলবে। আমাদের লঞ্চ প্রস্তুত আছে। সদরঘাট নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান খান বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও যাত্রীদের নিরাপত্তায় আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে। আমরা দ্রুতই সভা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। প্রয়োজনে বিশেষ ফোর্সের ব্যবস্থাও থাকবে। এছাড়া র্যাব এবং আনসার সদস্যরাও আলাদা আলাদাভাবে কাজ করবে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সদরঘাটের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিআইডব্লিওটিএ কাজ করবে। নদী পথেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে, অন্যান্য ফোর্সও কাজ করবে।