ঢাকা ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ব্যস্ত সময় কাটছে চারুকলার শিক্ষার্থীদের

চলছে মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি

চলছে মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি

উৎসবপ্রিয় বাঙালি, আর বাঙালির পরিচয়ের উৎসব বাংলা বর্ষবরণ। ধর্মণ্ডবর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সব বাঙালির প্রাণের উৎসব নববর্ষ। এই বর্ষবরণে মূল আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রা। প্রতি বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্বব্যাপী বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম পরিচায়ক হয়ে উঠেছে। ২০১৮ সালে এটি পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এই শোভাযাত্রা আরো একটি জায়গায় অনন্য। সেটি হলো এই আয়োজনের স্বকীয়তা। অর্থাৎ এই আয়োজন হয় সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্পন্সর করতে চাইলেও অস্বীকৃতি জানান আয়োজক প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এর পরিবর্তে বরাবরই মঙ্গল শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে মাসব্যাপী চারুকলা অনুষদে চলে ফান্ড রেইজিং ক্যাম্পেইন। এবার তা শুরু হয়েছে গত ১৯ মার্চ থেকে। কিন্তু রমজানের কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি খুবই কম বলে জানান আয়োজকরা। তবে মঙ্গল শোভাযাত্রার তহবিল সংগ্রহে নানা রকম শিল্পকর্ম তৈরি করে বিক্রি করছেন শিক্ষার্থীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারির সামনে ফান্ড রেইজিং ক্যাম্পেইন চলার পাশাপাশি সেখানে ক্রেতার আশায় বসে আছেন আয়োজকদের কেউ কেউ। আবার কেউ আঁকছেন ছবি, কেউ বানাচ্ছেন মুখোশ।

আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফান্ড রেইজিংয়ের ওপর নির্ভর করে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করেন তারা। প্রতি বছর ফান্ড রেইজিং ভালো হলেও রমজানের কারণে এবার তেমন বিক্রি নেই বললেই চলে। তাই এবার আয়োজন কিছুটা সংক্ষিপ্ত করার কথা ভাবছেন তারা। তবে প্রাথমিকভাবে যতটা সংক্ষিপ্ত হবে বলে ভেবেছেন ঠিক ততটা সংক্ষিপ্ত হবে না এমনটাও প্রত্যাশা তাদের।

প্রাচ্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা রমজানে কারণে ফান্ড রেইজিং কম হচ্ছে। মানুষ ক্লান্ত থাকে বিকালে। সবাই অফিস শেষে বাড়ি ফিরে আর কেউ বের হন না। যার ফলে শিল্পকর্মের বিক্রি কম। তাই আয়োজন কিছুটা সংক্ষিপ্ত করার কথা ভাবছি। ফান্ডিংয়ের ওপর নির্ভর করছে আয়োজনের পরিসর।

নববর্ষ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নিসার হোসেন বলেন, আমাদের এবারের প্রতিপাদ্য ‘বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি’। প্রতি বছর আমরা বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য ঠিক করি।

বর্তমানে মানুষে মাঝে হানাহানি, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেটি চরম মাত্রায় পৌঁছে এই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এর ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও চরম ধস নেমেছে। তাই আমাদের এবারের কামনা পৃথিবীতে শান্তি নেমে আসুক। সেজন্যই এই প্রতিপাদ্য। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গনে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মতো বিশেষ করে বাঁশ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন প্রাণীর খোলস তৈরি করে সেটি রংতুলির আবরণে ছেয়ে দিচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত