সুসংবাদ প্রতিদিন

বিদেশি ফল মালবেরি চাষে সফল নওগাঁর সোহেল রানা

প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

জেলার বরেন্দ্র অধ্যুষিত এলাকায় বিদেশি জনপ্রিয় ফল মালবেরি উৎপাদনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে। ঠা ঠা বরেন্দ্র বলে খ্যাত সাপাহার উপজেলায় কৃষি উদ্যোক্তা সোহেল রানা তার সমন্বিত বরেন্দ্র এগ্রো খামারে মালবেরি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। তার এ সফলতা দেখতে প্রতিদিন আগ্রহী উদ্যোক্তারা খামারে আসছেন এবং নিজেরাও মালবেরি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

মালবেরি প্রধানত পাহাড়ি এবং শীত প্রধান দেশের একটি জনপ্রিয় ফল। বিশেষ করে অষ্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান এসব দেশে মালবেরি চাষ হয়ে থাকে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কিছু কিছু এলাকায় মালবেরি চাষ হচ্ছে। সোহেল রানা তার ধারাবাহিক অনুসন্ধানী উদ্যোগের অংশ হিসেবে এখন থেকে চার বছর আগে তার এগ্রো খামারে অন্যান্য অনেক ফলের সঙ্গে প্রায় ৫০টি মালবেরি গাছের চারা রোপণ করেন। থাইলান্ড থেকে সরাসরি এবং ঢাকা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মালবেরি চারা সংগ্রহ করেন। তিনি তার এ খামারে ৮ প্রজাতির মালবেরি চারা রোপণ করেন। রোপণের এক বছর পর থেকেই ফল ধরতে শুরু করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর সবচেয়ে বেশি মালবেরি উৎপাদিত হয়েছে। এ বছর প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমাণ ফল ধরেছে। চলতি বছর মূল সিজনে প্রতিটি গাছে গড়ে কমপক্ষে ১০ কেজি করে মোট ৫০০ কেজি মালবেরি উৎপাদনের প্রত্যাশা করছেন তিনি। বর্তমানে বাজারে তিনি প্রতি কেজি ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। সেই হিসেবে এ বছর মূল সিজনে ২ লাখ টাকার মালবেরি বিক্রি করবেন। এ ছাড়াও গাছগুলোতে বছরে আরো একবার মালবেরি উৎপাদিত হবে। সেখান থেকেও আসবে অতিরিক্ত আয়। অথচ খরচ তেমন নাই বললেই চলে। ব্যবহার করেন কেবলমাত্র জৈবসার। রোগবালাই কিংবা পোকা মাকড়ের কোনো আক্রমণ নেই। নিরাপদেই চাষ করেন তিনি।

সোহেল রানার এ এগ্রো খামারের সফলতার কাহিনী লোকের মুখে মুখে। তার ওপর বিদেশি ফল মালবেরি চাষ ও লাভের কথা শুনে প্রতিদিন প্রচুর আগ্রহী লোকজন দেখতে তার খামারে ভিড় করছেন। নিজেরাও মালবেরি চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিচ্ছেন সোহেল রানার কাছ থেকে।

মালবেরি চাষের অপরা সম্ভাবনার কথা জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন এ ফল উচ্চমানের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। বিশেষ করে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য মালবেরি খুবই উপকারী। সাপাহারের সোহেল রানার মতো যদি কেউ মালবেরি চাষে এগিয়ে আসেন কৃষি বিভাগ সব রকমের পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।