মাঝেমধ্যে কাশি হতেই পারে। এটি খুব সাধারণ একটি সমস্যা। কিন্তু কিছুদিন ধরে চারপাশের বেশিরভাগ মানুষকেই দেখবেন এই কাশির সমস্যায় ভুগছেন। এর পেছনে থাকতে পারে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। চারপাশের মানুষের কাশিতে বিরক্ত হওয়ার আগে জেনে নিন কেন তারা এভাবে ভুগছেন। সেইসঙ্গে আপনিও যদি ভুক্তভোগী হয়ে থাকেন, তবে কারণগুলো জেনে রাখা ভালো। বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন। এটি সংক্রমণ রোধে সাহায্য করবে। জেনে নিন কাশির সম্ভাব্য কারণগুলো-
হাঁপানি : হাঁপানি হলো দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা ফুসফুসের ওপর প্রভাব ফেলে। ইউএস সিডিসি অনুসারে, রাত্রিকালীন বা ভোরবেলা কাশি হওয়ার সমস্য হতে পারে হাঁপানির কারণ। এর পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট এবং বুকে ব্যথা হতে পারে সংক্রমণের অন্যান্য উপসর্গ।
হঠাৎ হঠাৎ কাশি শুরু হয়ে আবার চলেও গেলে হতে পারে তা অ্যালার্জির কারণে। কিছু সাধারণ অ্যালার্জি আছে যা কাশির কারণ হতে পারে। তার মধ্যে রয়েছে শুষ্ক বায়ু, বাতাসে পরাগ বা বিড়ালের লোম। তাই কাশি হলে খেয়াল করুন আপনার সঙ্গে এমনটা ঘটছে কি-না।
কোভিড-১৯ : শুষ্ক কাশি হলো কোভিড-১৯ এর সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি। অনেকের ক্ষেত্রেই কফ ও কাশির সমস্যা দেখা দেয়। কোভিড-১৯ সংক্রমণের অন্যান্য লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, ক্লান্তি, স্বাদ বা গন্ধ হ্রাস, বন্ধ নাক, কনজেক্টিভাইটিস, গলাব্যথা, মাথাব্যথা এবং পেশী বা জয়েন্টে ব্যথা।
ইনফ্লুয়েঞ্জা : ফ্লু, ঠান্ডা এবং শ্বাসযন্ত্রের অন্যান্য সংক্রমণের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো কাশি। এ কাশি স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসে বিঘ্ন ঘটায়। সর্দি-কাশির কারণে কাশি হলে অন্যান্য লক্ষণ যেমন বন্ধ নাক এবং জ্বর দেখা দিতে পারে। এমনটাই প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন।
বায়ু দূষণ : বায়ুতে দূষণের কারণে ক্রমাগত কাশি হতে পারে। এমনকি ডিজেল নিষ্কাশনের মতো ধোঁয়ার আকস্মিক সংস্পর্শেও কাশি, কফ এবং ফুসফুসে জ্বালা হতে পারে। এসব দূষণ অ্যালার্জি বা হাঁপানির সমস্যাও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী ধূমপান : যারা নিয়মিত ধূমপান করেন তাদের দীর্ঘস্থায়ী কাশি হতে পারে। তামাক গ্রহণের কারণে তাদের শ্বাসনালী এবং ফুসফুসে যেসব রাসায়নিক প্রবেশ করে, তার পরিত্রাণ পেতে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার কারণে এমনটা ঘটে। এটি সাধারণত শুষ্ক কাশি হিসাবে শুরু হয় তবে কফও তৈরি করতে পারে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে
স্বাস্থ্য পরামর্শ