ঈদে বাজারে আসছে ১৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট
প্রকাশ : ১১ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদের আনন্দ-উৎসবকে কেন্দ্র করে বাড়ে নতুন টাকার চা?হিদা। বাড়তি চাহিদার কারণে বাজা?রে যেন নগদ অর্থের সংকট না হয় তাই প্রতিবছরের মতো এবারও প্রস্তুতি নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে বিগত যে কোনো সময়ের চেয়ে এবার নতুন টাকা কম ছাড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার ঈদ উপলক্ষ্যে বাজারে ছাড়া হচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট। গত রোববার থেকে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের ৩২ ব্যাংকের ৪০ শাখার মাধ্যমে নতুন নোট বিনিময় শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শাখাগুলো থেকে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ সাড়ে আট হাজার টাকা সংগ্রহ করতে পারছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মো. সারওয়ার হোসেন বলেন, এবারের ঈদে মোট ১৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একজন সর্বোচ্চ সাড়ে আট হাজার টাকার নতুন নোট নিতে পারবেন বলেও জানান তিনি। আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া) ৩২ ব্যাংকের ৪০ শাখার মাধ্যমে নতুন টাকা পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন অফিসের মাধ্যমে চার ধরনের নতুন নোট (৫, ১০, ২০ ও ৫০ টাকা মূল্যমানের নোট) বিশেষ ব্যবস্থায় বিনিময় করা হবে। একই ব্যক্তি একাধিকবার নতুন নোট গ্রহণ করতে পারবেন না। তবে নোট উত্তোলনকালে কেউ ইচ্ছা করলে কাউন্টার থেকে মূল্যমান নির্বিশেষে যে কোনো পরিমাণ ধাতব মুদ্রা নিতে পারবেন।
যেসব ব্যাংক থেকে নতুন টাকা পাওয়া যাবে- এনসিসি ব্যাংক যাত্রাবাড়ী শাখা, ঢাকা। মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, বাবু বাজার শাখা, ঢাকা। পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, সদরঘাট শাখা, ঢাকা। জনতা ব্যাংক লিমিটেড, আব্দুল গণি রোড করপোরেট শাখা, ঢাকা। অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, জাতীয় প্রেসক্লাব করপোরেট শাখা, ঢাকা। রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, স্থানীয় কার্যালয়, ঢাকা। এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড, মতিঝিল শাখা, ঢাকা। সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, রমনা করপোরেট শাখা, ঢাকা। ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড, বাসাবো শাখা, ঢাকা। আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, নন্দীপাড়া শাখা, ঢাকা। এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড, মালিবাগ শাখা, ঢাকা। অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, রামপুরা টিভি শাখা, ঢাকা। এবি ব্যাংক লিমিটেড, প্রগতি সরণি শাখা, ঢাকা। প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, বসুন্ধরা শাখা, ঢাকা। প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, বনানী শাখা, ঢাকা। ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, বনানী-১১ শাখা, ঢাকা। আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড, গুলশান শাখা, ঢাকা। ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, মহাখালী শাখা, ঢাকা। সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, কাওরান বাজার শাখা, ঢাকা। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা, ঢাকা। প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, এ্যালিফেন্ট রোড শাখা, ঢাকা। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, নিউমার্কেট শাখা, ঢাকা। ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, ধানমন্ডি শাখা, ঢাকা। সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, মোহাম্মদপুর শাখা, ঢাকা। ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, শ্যামলী শাখা, ঢাকা। সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, জাতীয় সংসদ ভবন শাখা, ঢাকা। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, মিরপুর শাখা, ঢাকা। এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড, মিরপুর শাখা, ঢাকা। দি সিটি ব্যাংক লিমিটেড, বেগম রোকেয়া সইণ শাখা, ঢাকা। জনতা ব্যাংক লিমিটেড, রজনীগন্ধা, ঢাকা (সাবেক কচুক্ষেত করপোরেট শাখা)। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, এসএমই অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার শাখা, দক্ষিণখান, ঢাকা। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, গাউসুল আযম এভিনিউ শাখা, ঢাকা। রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, উত্তরা মডেল টাউন করপোরেট শাখা, ঢাকা। সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, কোর্ট বিল্ডিং শাখা, গাজীপুর। মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড, নারায়ণগঞ্জ শাখা, নারায়ণগঞ্জ। এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড, শিমরাইল শাখা, নারায়ণগঞ্জ। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, কাচপুর শাখা, নারায়ণগঞ্জ। প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, নারায়ণগঞ্জ শাখা, নারায়ণগঞ্জ। মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, সাভার শাখা, সাভার ও ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, কেরানীগঞ্জ শাখা, কেরানীগঞ্জ। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন বিল্ডিয়ের নিচতলা থেকেও নতুন টাকার নোট নিতে পারছেন গ্রাহক। কোনো ব্যক্তি যাতে একাধিকবার নতুন টাকা নিতে না পারেন এজন্য এনআইডি কার্ড দিয়ে টাকা নিতে হচ্ছে। আবার ভোগান্তি এড়াতে অনেকেই খোলা বাজার থেকে নতুন টাকা কিনছেন বাড়তি অর্থ খরচ করে। এতে গুলিস্তান ও মতিঝিল সেনা কল্যাণ ভবনের সামনের অস্থায়ী নতুন টাকার বাজারও জমে উঠেছে। এসব বাজার থেকে প্রতি বান্ডিল নতুন টাকার জন্য ২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে।