ঢাকা ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ইউপি চেয়ারম্যান হত্যাকাণ্ড

আট সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার

আট সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুস সরকারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত আট সন্ত্রাসীকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলো- পাবনার বাঙ্গালা পূর্বপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলাম তুষার (২৫), দিনাজপুরের সুজাপুর বানিয়াপাড়া গ্রামের বিশ্বনাথ মহন্ত (৩২), সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার শহিদুল ইসলাম (৪০), বলরাম চন্দ্র দাস (৩৮), রহমত আলী (৩৮), সুনীল উরাও (৪৫), রহমত আলী (৪৫), উত্তম চন্দ্র দাস (৪০)। বিশেষ অভিযানে এদের গ্রেপ্তার করায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। গতকাল দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন বিপিএম, পিপিএম এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ওই উপজেলার ভোগলমান বাজারে নিজস্ব দোকানের ভেতরে বসা অবস্থায় মুখোশধারী আগ্নেয়াস্ত্র বহনকারী ১৪ থেকে ১৫ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী আ. কুদ্দুস সরকারকে গুলি করে হত্যা করে। এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর ওই বাজারে পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির লিফলেট ও সর্বহারা পার্টি জিন্দাবাদ সেø­াগান দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা।

এ ঘটনায় ২০ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে সংশ্লিষ্ট থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশের একটি বিশেষ টিম এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নামে এবং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ মামলার তদন্ত শুরু করে ও এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়। গতকাল ভোর রাতে ওই ইউনিয়নের দোগাড়ীয়া ঈদগাহ মাঠ এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ একটি সন্ত্রাসী দল মহড়া দিচ্ছে। এমন গোপন সংবাদে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও তাড়াশ থানার পুলিশ এ সন্ত্রাসীদের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের দেয়া তথ্যর ভিত্তিতে সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দানকারী তাড়াশ থানার দেওঘর গ্রাম থেকে সুনীল উরাওকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০০২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বেলকুচি উপজেলার রান্ধুনিবাড়ী পুলিশ ক্যাম্প থেকে লুট হওয়া একটি এসএমজি, একটি থ্রি-নট থ্রি রাইফেল, একটি থ্রি নট থ্রি কাটা রাইফেল, ১১ রাউন্ড থ্রি নট থ্রি তাজা গুলি, একটি গুলির খোসা, দুটি চাকু, একটি সাউন্ড গ্রেনেড ও একটি অটো ভ্যান গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদেরকে পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করে। এ সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বিপিএম (বার), পিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. সামিউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) রেজানুল, ওসি হুমায়ুন কবির, ওসি শহিদুল ইসলাম, ওসি (ডিবি) রওশন আলী, ডিআইও-১ আব্দুর রহিমসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত