মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ঘোষণা
ফুটেজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার ঐতিহাসিক ফুটেজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ গত শনিবার ব্রিটিশ পাথের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। ঢাকায় প্রাপ্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ঐতিহাসিক দলিলের জন্য বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মাল্টিমিডিয়া রিসোর্স লন্ডনের ব্রিটিশ পাথের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভকে শক্তিশালী করাও এই সমঝোতা স্মারকের লক্ষ্য।
সমঝোতা স্মারক অনুসারে, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ প্রকল্পের অধীনে ‘স্বদেশ ও বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের ফুটেজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক একটি বিশেষ প্রকল্পের অধীনে ব্রিটিশ পাথে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিকে ধারাবাহিক নিপীড়ন থেকে মুক্ত করার জন্য বঙ্গবন্ধুর ২৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংগ্রামের মোট ১৫৬টি উচ্চ মানের ফুটেজ সংগ্রহ করবে। এতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ডকুমেন্টারি এবং অডিও-ভিজ্যুয়াল সামগ্রীর অ-বাণিজ্যিক নির্মাণের জন্য ফুটেজগুলোও ব্যবহার করবে।
বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের প্রজেক্ট ডিরেক্টর ড. মো. মোফাকখারুল ইকবাল এবং ব্রিটিশ পাথের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যালিস্টার হোয়াইট নিজ নিজ পক্ষে নথিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্বের অন্যতম সেরা আর্কাইভ থেকে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যার পর ধ্বংস হওয়া ঐতিহাসিক ফুটেজের সংগ্রহ নিশ্চিতভাবেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সংরক্ষণ করতে সক্ষম করে তুলবে। মন্ত্রী ঐতিহাসিক অডিও-ভিজ্যুয়াল নথিকে আরো সমৃদ্ধ করতে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ এবং ব্রিটিশ পাথের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন। অ্যালিস্টার হোয়াইট (ব্রিটিশ পাথের সিইও) বলেন, ‘ড. হাছান মাহমুদের গুরুত্বপূর্ণ সহায়তায় আমরা বাংলাদেশ সরকারের ব্যবহার এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের অন্তর্ভুক্তির জন্য ১৫৬টি ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র পরিষ্কার ও স্ক্যান করার ব্যবস্থা করেছি। আমাদের এখন পর্যন্ত করা সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটিতে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমরা বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের ডক্টর মো. মোফাকখারুল ইকবাল এবং তার টিমের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আমরা আশা করি আমাদের দেয়া ফিল্মগুলো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টায় সাহায্য করবে। এবং বাংলাদেশের জনগণকে সম্মানিত করবে।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের চ্যান্সারি প্রধান ও কাউন্সেলর মাহফুজা সুলতানা, মিনিস্টার (প্রেস) আশেক উন-নবী চৌধুরী, মিনিস্টার (রাজনৈতিক) নাসরিন মুক্তি, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সহকারী পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান এবং ব্রিটিশ পাথের কনটেন্ট ম্যানেজার জেমস হোয়েল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।