চট্টগ্রামে প্রবাসীদের টার্গেট করে ছিনতাইয়ে জড়িত চক্রের ১১ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত র্যাবের একটি টিম চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন, ইমরান হাসান, রুবেল, শফি ওরফে মো. মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম সোহাগ, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইয়াছিন আরাফাত মিনার, জমির, সৈকত, হাবিবুল কিবরিয়া ওরফে আরমান, কিল্টন দে এবং কায়সার হামিদ।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বলেন, ডাকাত চক্রের সদস্যরা একত্রিত হয়ে চট্টগ্রাম শহরের আগ্রাবাদ থেকে একটি প্রাইভেট কারে করে ডাকাতির উদ্দেশে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে শনিবার সন্ধ্যা থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে চক্রের ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, ছিনতাই চক্রে ১০ থেকে ১২ জন থাকেন।
তাদের মধ্যে ৩/৪ জন বিমানবন্দরের ভেতরে অবস্থান করেন এবং বাকি সদস্যরা বাইরে অপেক্ষায় থাকেন। বিমানবন্দরের ভেতরে থাকা সদস্যরা বিদেশ থেকে আসা প্রবাসীদের টার্গেট করেন। প্রবাসীরা যখন বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে গাড়িযোগে যাওয়ার জন্য রওনা দেন তখন বিমানবন্দরের ভেতরে থাকা সদস্যদের তথ্য অনুযায়ী বাইরে অপেক্ষারত চক্রের অন্যান্য সদস্যরা প্রবাসীদের আটকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সর্বস্ব কেড়ে নেন। তারা প্রবাসী ব্যক্তিদের পাসপোর্ট ছিনিয়ে নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট ফেরত দেন।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরো জানান, তারা ছিনতাই ছাড়াও চট্টগ্রামের পটিয়া, বোয়ালখালী ও বাঁশখালী রুটে চলাচলকারী অটোরিকশা চালকদের টার্গেট করতেন। তাদের এক গ্রুপ সিএনজি টার্গেট করত এবং অন্য গ্রুপ যাত্রী সেজে সেই সিএনজিতে উঠে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে চালককে হাত-পা বেঁধে রাস্তার পাশে ফেলে অটোরিকশা ছিনতাই করে।