বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় রামপুরা থানায় দায়ের করা মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালত বাদীর নারাজি গ্রহণ করে এ নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) আগামী ২৪ মে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন।
বুশরার আইনজীবী একেএম হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল আমাতুল্লাহ বুশরা আদালতে হাজিরা দেন। তিনি এ মামলায় স্থায়ী জামিনে রয়েছেন। এ দিন ডিবি পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে মামলার বাদী নূর উদ্দিন রানার দেওয়া নারাজি আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত নারাজির আবেদন গ্রহণ করেন। এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি রামপুরা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় মামলা থেকে বুশরার অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার। গত বছরের ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। এ ঘটনায় বুশরাসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে রামপুরা থানায় নিহত ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার পর গত ১০ নভেম্বর ফারদিন নূর পরশকে হত্যা করে লাশ গুম করার অভিযোগে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বান্ধবী বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে তিনি স্থায়ী জামিনে রয়েছেন।