ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটি
চট্টগ্রামে গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানোর দাবি
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম ব্যুরো
জাতীয় গ্রিড থেকে চট্টগ্রামে বিদ্যুতের সরবরাহ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটি। দেশব্যাপী প্রচণ্ড দাবদাহে অতিষ্ঠ জনগণ ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে জনজীবন মারাত্মকভাবে ব্যহত হওয়ার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান তারা।
গতকাল ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, সহ-সভাপতি সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, প্রচণ্ড-তাপদাহে স্বাভাবিক জনজীবন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সেখানে বিদ্যুতের লোডশেডিং মানুষের দুর্ভোগের মাত্রাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। চট্টগ্রাম জেলায় বেশ কিছুদিন ধরে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি চলছে। বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন সাত থেকে আটবার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে। গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে লোডশেডিং বাড়ছে। বাড়ছে বিদ্যুৎ নিয়ে মানুষের কষ্ট সীমাও।
নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রামে চালু রয়েছে ১১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এসব কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ২৫৮ মেগাওয়াট। কিন্তু এসব কেন্দ্র থেকে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ৬৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এর মধ্যে খুঁড়িয়ে চলছে ছয়টি। অপরদিকে উৎপাদন ক্ষমতার অর্ধেক উৎপাদনে চলছে চারটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে চারটি ইউনিট বন্ধ রয়েছে। এখন মাত্র ১ নম্বর ইউনিটে (৪৬ মেগাওয়াট) ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪২০ মেগাওয়াটের ২টি (প্রতিটি ২১০ মেগাওয়াট করে) বিদ্যুৎ কেন্দ্র দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ রয়েছে। শিকলবাহা ২২৫ মেগওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ রয়েছে অনেক দিন ধরে। একই সাথে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও অনেক দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। হাটহাজারী ১০০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটিও অনেক দিন থেকে বন্ধ। ২৪ মেগাওয়াটের রিজেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ রয়েছে।
১০০ মেগাওয়াটের এনার্জি প্যাক বন্ধ। এদিকে বছরের পর বছর ধরে টেকনাফ সোলার প্ল্যান্ট ও কাপ্তাই সোলার প্ল্যান্ট বন্ধ রয়েছে। তাই নামে মাত্র তালিকার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তালিকায় না রেখে এগুলোকে সচল করা যেমন দরকার তেমনি বৃহত্তর চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ সংকট মেটাতে জররিভাবে জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ বাড়ানো উচিত। জানা যায়, চট্টগ্রামে ছোট-বড় ২৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে। এর মধ্যে ১৩টি কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। এর মাঝে কাপ্তাই লেকের পানির স্তরের নিচে নেমে যাওয়ায় পানির অভাবে চারটি ইউনিট বন্ধ রয়েছে।