সুসংবাদ প্রতিদিন
মালবেরী চাষে সফল সোহেল
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
নওগাঁ জেলার বরেন্দ্র অধ্যুষিত এলাকায় বিদেশি জনপ্রিয় ফল মালবেরী উৎপাদনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে। ঠা ঠা বরেন্দ্র বলে খ্যাত সাপাহার উপজেলায় কৃষি উদ্যোক্তা সোহেল রানা তার সমন্বিত বরেন্দ্র এগ্রো খামারে মালবেরী চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। তার এ সফলতা দেখতে প্রতিদিন আগ্রহী উদ্যোক্তারা খামারে আসছেন এবং নিজেরাও মালবেরী চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। মালবেরী প্রধানত পাহাড়ী এবং শীত প্রধান দেশের একটি জনপ্রিয় ফল। বিশেষ করে অষ্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান এসব দেশে মালবেরী চাষ হয়ে থাকে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কিছু কিছু এলাকায় মালবেরী চাষ হচ্ছে। সোহেল রানা তার ধারাবাহিক অনুসন্ধানী উদ্যোগের অংশ হিসেবে এখন থেকে চার বছর আগে তার এগ্রো খামারে অন্যান্য অনেক ফলের সঙ্গে প্রায় ৫০টি মালবেরী গাছের চারা রোপণ করেন। থাইলান্ড থেকে সরাসরি এবং ঢাকা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মালবেরী চারা সংগ্রহ করেন। তিনি তার এ খামারে ৮ প্রজাতির মালবেরী চারা রোপণ করেন। রোপণের এক বছর পর থেকেই ফল ধরতে শুরু করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর সবচেয়ে বেশি মালবেরী উৎপাদিত হয়েছে। এ বছর প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমাণ ফল ধরেছে। চলতি বছর মূল সিজনে প্রতিটি গাছে গড়ে কমপক্ষে ১০ কেজি করে মোট ৫০০ কেজি মালবেরী উৎপাদনের প্রত্যাশা করছেন তিনি। বর্তমানে বাজারে তিনি প্রতি কেজি ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। সেই হিসেবে এ বছর মূল সিজনে ২ লাখ টাকার মালবেরী বিক্রি করবেন। এ ছাড়াও গাছগুলোতে বছরে আরও একবার মালবেরী উৎপাদিত হবে। সেখান থেকেও আসবে অতিরিক্ত আয়। অথচ খরচ তেমন নাই বললেই চলে। ব্যবহার করেন শুধু জৈবসার। রোগবালাই কিংবা পোকাণ্ডমাকড়ের কোনো আক্রমণ নেই। নিরাপদেই চাষ করেন তিনি। সোহেল রানার এ এগ্রো খামারের সফলতার কাহিনি লোকের মুখে মুখে। তার উপর বিদেশি ফল মালবেরী চাষ ও লাভের কথা শুনে প্রতিদিন প্রচুর আগ্রহী লোকজন দেখতে তার খামারে ভিড় করছেন। নিজেরাও মালবেরী চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিচ্ছেন সোহেল রানার কাছ থেকে।
মালবেরী চাষের অপরা সম্ভাবনার কথা জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন এ ফল উচ্চমানের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। বিশেষ করে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য মালবেরী খুবই উপকারী। সাপাহারের সোহেল রানার মতো যদি কেউ মালবেরী চাষে এগিয়ে আসেন কৃষি বিভাগ সব রকমের পরামর্শসহ সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।