প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ

প্রধান ঈদ জামাতে ৩৫ হাজার মুসল্লির ব্যবস্থা

প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এএইচএম ফারুক

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত সে জামাতে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সে লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। অপর দিকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ঈদের নামাজের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জামাতগুলোতে পৃথক পৃথক আলেমরা ইমাম ও মুকাব্বিরের দায়িত্ব পালন করবেন। সেখানে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

এসময় তিনি বলেন, আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। ঈদের প্রধান জামাতে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির এক সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য জাতীয় ঈদগাহ প্রস্তুত।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন হওয়ায় প্রতি বছর জাতীয় ঈদগাহের ব্যবস্থাপনার কাজ করে সংস্থাটি। এ বছরও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অঞ্চল ১ প্রকৌশল বিভাগের আওতায় এ জাতীয় ঈদগাহের কাজ চলছে। জানা গেছে, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের ক্ষেত্রফল ঈদগাহের প্যান্ডেলের ক্ষেত্রফল ৩০ বর্গমিটার (প্রায়)। জাতীয় ঈদগাহে প্রায় ২৫০ জন অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, গুরুত্বপূর্ণ নারী অংশ নেবেন। এছাড়া সাধারণ পুরুষ প্রায় ৩১ হাজার এবং নারী ৩ হাজার ৫০০ জন মিলিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ নামাজে অংশ নেবেন।

জাতীয় ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শনে এসে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস আরও জানান, সাধারণ মুসল্লিদের বড় আকারের নামাজের কাতার করা হচ্ছে ৬৫টি, এছাড়া নারীদের জন্য ছোট কাতার করা হচ্ছে ৫০টি। এর বাইরে অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য ৬টি কাতার থাকবে। পুরো ঈদগাহ মাঠজুড়ে প্রতিবার একসঙ্গে প্রায় ১৪০ জন মুসল্লি এক সঙ্গে অজু করতে পারবেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদগাহ মাঠে ১০টি এয়ারকুলারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত ফ্যান ও লাইটের ব্যবস্থা আছে। সেখানে সিলিং ফ্যান ৫৫০টি, স্ট্যান্ড ফ্যান ১৫০টি, মেটাল লাইট ৪০টি ও টিউব লাইট ৭০০টি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি খাবার পানির ব্যবস্থা, ভিআইপি কাতারে জায়নামাজের ব্যবস্থা, ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের ব্যবস্থা, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা এবং বৃষ্টির পানি নিরোধক সামিয়ানার ব্যবস্থা করা হয়েছে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে।