কম্পিউটার হ্যাক হলে...

প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে ম্যালওয়ার অ্যাটাক হলে অনেকেই তা বুঝতে পারেন না। যতক্ষণে কিছু বুঝে ওঠেন, ততক্ষণে সারা জীবনের আয় করা কষ্টের টাকা হাতছাড়া করে ফেলেন। ইন্টারনেটের ব্যবহার যত বাড়বে, ততই দিনের পর দিন সাইবার ক্রাইমের মাত্রাও বাড়তে থাকবে। প্রতিদিনই কোনও না কোনও জালিয়াতির খবর নজরে আসে। আর তার বেশিরভাগই করা হয় ফোন অথবা কম্পিউচার হ্যাক করে। আপনার ল্যাপটপটি যদি আগের তুলনায় স্লো কাজ করে- তবে হতেই পারে, তাতে ম্যালওয়ার অ্যাটাক হয়েছে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, শুধু কী এই একটাই কারণে বোঝা যাবে ল্যাপটপটি হ্যাক হয়েছে কি-না? না, আরও অনেক কারণ আছে, যাতে আপনি সহজেই বুঝে যেতে পারবেন। ম্যালওয়্যার অ্যাটাক কী? ম্যালওয়্যার অ্যাটাক হলো একটি সাইবার আক্রমণ, যেখানে ক্ষতিকর বা ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার কোনও ব্যক্তির ইলেকট্রনিক ডিভাইসে ইনস্টল করা হয়। তাও আবার হ্যাক করে। ম্যালওয়্যার আপনার ডিভাইসের হার্ডওয়্যারের কোনও ক্ষতি করতে পারে না। কিন্তু আপনার ডাটা চুরি, এনক্রিপ্ট বা স্থায়ীভাবে মুছে ফেলতে পারে। সিস্টেমে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে : ই-মেইলে সমস্যা, সফটওয়্যার ডাউনলোডে সমস্যা দেখা দিলে বুঝবেন আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটারটি ম্যালওয়ার অ্যাটাক হয়েছে। এছাড়াও কম্পিউটারের সিস্টেম সেটিংস ও ফাইলগুলোতে যদি কোনও ধরনের পরিবর্তন দেখতে পান তাহলে সতর্ক হবেন। ল্যাপটপে থাকা ভাইরাসগুলো আপনার অজান্তেই সিস্টেম পরিবর্তন করতে পারে। কম্পিউটারকে ভাইরাস থেকে রক্ষা করার জন্য, আপ-টু-ডেট অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করা ও ফাইল ডাউনলোড করার সময় বা লিঙ্কগুলোতে ক্লিক করার সময় সতর্ক থাকুন।

পপ আপ ও বিজ্ঞাপন : ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার অ্যাটাকে কম্পিউটারের আরেকটি সাধারণ পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন। তা হলো কম্পিউটার বা ল্যপটপটি অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কি-না। শুধুই রিস্টার্ট নয়, কখনও কখনও যদি নিজে থেকেই কোনও অ্যাপ খুলে বা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলেও সতর্ক হন। ভাইরাস ও ম্যালওয়ারের সবচেয়ে সাধারণ উৎস হলো ইন্টারনেট বিজ্ঞাপন ও সফটওয়্যার। ডুপ্লিকেট ফোল্ডার : কম্পিউটারে পাওয়া সবচেয়ে সাধারণ ভাইরাসগুলোর মধ্যে একটি, যা ফোল্ডারগুলোর মধ্যে ডুপ্লিকেট ফোল্ডার তৈরি করে। অর্থাৎ যদি ল্যাপটপ ব্যবহার করতে করতে হঠাৎই কোনও ফোল্ডারের ভেতর ডুপ্লিকেট ফোল্ডার চোখে পড়ে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেটিকে ডিলিট করে দিন। ইন্টারনেট বেশি খরচ হচ্ছে : আপনার যদি মনে হয়, ল্যাপটপে ইন্টারনেট বেশি খরচ হচ্ছে, সেক্ষেত্রে সতর্ক হয়ে যান। সিস্টেমে কিছু ম্যালওয়্যার থাকতে পারে। ম্যালওয়্যার সাধারণত ডাটা সংগ্রহ করে। সংগৃহীত ডাটা ইন্টারনেটের মাধ্যমে লিংক সার্ভারে পাঠানো হয় ও তার জন্য ডিভাইসে ইন্টারনেট খুব বেশি খরচ হতে শুরু করে। অ্যান্টিভাইরাস ও ম্যালওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন কাজ করছে না : অনেক সময় দেখা যায় ল্যাপটপে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার সঠিকভাবে কাজ করছে না। এর কারণ হতে পারে আপনার ল্যাপটপটিতে ভাইরাস রয়েছে। এ প্রোগ্রামগুলো আপনার কম্পিউটারকে নতুন অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার বা আপডেটগুলো ইনস্টল করা থেকে বাধা দিচ্ছে।