বরগুনা জেলা কৃষি অফিস জানায়, জেলায় এ বছর তরমুজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১১ হাজার ৫১২ হেক্টর। জেলার ৬ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে তরমুজ চাষ হয়েছে ১৫ হাজার ৮৩৮ হেক্টর জমিতে। গত বছরের থেকে চলতি বছর জেলায় ৪ হাজার ৩২৬ হেক্টর বেশি জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। জেলায় এ বছর মোট তরমুজ উৎপাদন হয়েছে ৬ লাখ ৯২ হাজার ৩২৫ টন। গত সপ্তাহ পর্যন্ত যা বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকায়। তরমুজ চাষিরা জানান, বৃষ্টির কারণে তেমন ক্ষতির মুখে পড়েননি। তারা পূর্বেও অভিজ্ঞতা দিয়ে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন করে তরমুজ ক্ষেত স্বাভাবিক রেখেছেন। এ বছর রৌদ্রের তাপ বেশি থাকায় তরমুজের দাম বেশি ছিল। তাই চাষিরা তরমুজের দাম ভালো পেয়েছেন। কৃষিবিদ সিএম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে তরমুজ চাষির ক্ষতি কাটাতে আমরা বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছি। সে কারণে তরমুজ চাষিদের তেমন ক্ষতি হয়নি। পাশাপাশি রোজা ও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকায় চাষিরা ভালো দাম পেয়েছেন। বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু সৈয়দ মোহাম্মদ জোবাইদুল আলম জানান, জেলায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রা থেকে বেশি তরমুজ চাষ হয়েছে। তিনি জানান- জেলায় উৎপাদিত তরমুজের ৯৫ শতাংশ থেকেই ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হয়েছে। বরগুনার তরমুজ সুস্বাদু হওয়ার কারণে চাহিদা বেশি থাকে। তাই চাষিরা বেশি দামে বিক্রি করতে পেরেছে।