১৪ হাজার ৭৫৭টি ছবিতে তৈরি হলো মঙ্গলগ্রহের প্রথম রঙিন মানচিত্র! মঙ্গলগ্রহের রঙিন মানচিত্র- সিজিটিএন। গত সোমবার ‘মহাকাশ দিবস’ পালন করেছে চীন। এ উপলক্ষ্যে মঙ্গল গ্রহের প্রথম রঙিন কোডযুক্ত মানচিত্র প্রকাশ করেছে দেশটি। ১৪ হাজার ৭৫৭টি ছবি যুক্ত করে এ মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে মঙ্গলে আরও অনুসন্ধান এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনার জন্য উন্নত প্রযুক্তিতে ৭৬ মিটারের এ ম্যাপ তৈরি করেছেন চীনের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। খবর সিজিটিএনের। পূর্ব চীনের আনহুই প্রদেশের হেফেইতে আয়োজিত একটি উৎক্ষেপণ অনুষ্ঠানে ‘চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিএনএসএ)’ এবং ‘চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস (সিএএস)’ যৌথভাবে এই রঙিন মানচিত্রের ছবি প্রকাশ করে।
খবরে বলা হয়েছে, চীনের তিয়ানওয়েন-১ মঙ্গল অভিযানের সময় সংগৃহীত বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং ছবির সাহায্যে এ মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। যা এ গ্রহ সম্পর্কে মানুষের ধারণা আরও স্পষ্ট করবে বলে দাবি করেছেন চীনা মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। তিয়ানওয়েন-১ ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত মঙ্গলের কক্ষপথে বহু উচ্চ মানের ছবি তোলে। ২৮৪টি ‘অরবিটাল রিমোট সেন্সিং ইমেজিং’ এর মাধ্যমে মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠের সেই ছবি হাতে পেয়েছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। ১৪ হাজার ৭৫৭টি ছবির সাহায্যে এ রঙিন মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। চীনের মঙ্গল অভিযান কর্মসূচির প্রধান কারিগর ঝাং রংকিয়াও মহাকাশ দিবসের অনুষ্ঠানের ফাঁকে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘এই পুরো প্রক্রিয়াটি মঙ্গল এবং এর কক্ষপথ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা তৈরি করেছে।’
তিনি নিশ্চিত যে রঙিন এই মানচিত্রে উপস্থাপিত রংগুলো মঙ্গলের জন্য মানানসই এবং সত্য। ঝাং বলেন, ‘মঙ্গল গ্রহের এই রঙিন মানচিত্র চীনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্তরেও মহাকাশ বিজ্ঞানীদের অনুসন্ধান অভিযান এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার অন্যতম ভিত্তি হতে পারে।’ ঝাং আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে, তিয়ানওয়েন-১ মহাকাশ অভিযানের পর্যবেক্ষণ এবং ফলাফল সমস্ত মানবজাতিকে উপকৃত করবে।’ মঙ্গল গ্রহের এই উচ্চমানের ছবিগুলোর মাধ্যমে, গবেষকরা মঙ্গলের অনেকগুলো ভৌগোলিক অস্তিত্বকে চিহ্নিত করেছেন। যার মধ্যে চিনের ঐতিহাসিক গ্রাম এবং শহরগুলোর নামে ২২টির নামকরণও করা হয়েছে। তিয়ানওয়েন-১ হল চিনের প্রথম মঙ্গল অভিযান। চিনের তিয়ানওয়েন-১ মঙ্গলাভিযান ২০২০ সালের জুলাই মাসে শুরু হয়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তা মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথে প্রবেশ করে। মঙ্গলে অবতরণের পর ২০২১ সালের মে মাস থেকে মঙ্গলে গবেষণার কাজ এবং নমুনা সংগ্রহ শুরু করে এই মহাকাশযান।
