ওজন কমাতে চাইলে আপনার খাবারের তালিকায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে হবে। বর্তমানে তাপমাত্রা বেশি। এ ধরনের আবহাওয়া আমাদের ফিটনেসের মাত্রায় ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু তাপকে পরাজিত করে এবং খাবারের তালিকায় সুনির্দিষ্ট পরিবর্তন এনে ওজন কমানোর লক্ষ্যে অটল থাকা সম্ভব। এটি শুধু খাবার নয়, পানীয়ের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। গরমের এই মৌসুমে ওজন কমাতে চাইলে মেনে চলতে হবে এই ৫ উপায়-
হাইড্রেটেড থাকুন : হাইড্রেশন এমন একটি মন্ত্র যা আপনি এই মৌসুমে সব জায়গায় শুনতে পাবেন। প্রচুর তরল পান করলে তা আমাদের কেবল শীতলই রাখে না বরং শরীরের কার্যকারিতাও বাড়ায়। প্রাকৃতিক পানীয় শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে এবং বিপাককে ত্বরান্বিত করতে পারে, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। এক্ষেত্রে সঠিক পানীয় নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। গ্রীষ্মকালে কোল্ড ড্রিংকস জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলুন। এর বদলে বেছে নিন স্বাস্থ্যকর পানীয়। সবচেয়ে ভালো হয়, বাড়িতে তৈরি করা পানীয় ও খাবার খেতে পারলে।
প্রোবায়োটিক খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান : দইয়ের মতো প্রোবায়োটিক খাবার খেলে তা অন্ত্রে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়াকে সহায়তা করে। সেইসঙ্গে প্রতিরোধ করে হজমের সমস্যাও। দই আমাদের শরীরে শীতল প্রভাব ফেলে। এটি আমাদের শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং এর প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম সামগ্রীও আমাদের শরীরের উপকার করে। দই বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায়। এটি দিয়ে লাচ্ছি, বাটারমিল্ক, শেক ইত্যাদি তৈরি করে খেতে পারেন। তবে কিছু খাবার আছে যেগুলোর সঙ্গে দই মিশিয়ে খাওয়া ক্ষতিকর। সেগুলো বাদ দিতে হবে।
পানিপূর্ণ ফল ও সবজি খান : শসা, তরমুজ, ফুটি এবং এই জাতীয় ফল গ্রীষ্মে বেশ সহজলভ্য। এসবে থাকে উচ্চমাত্রায় পানি যা শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এগুলো হজম উন্নত করে এবং অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। মনে রাখবেন, অন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং ওজন হ্রাস পরস্পর সম্পর্কিত। এগুলো প্রাকৃতিক হাইড্রেশনে সহায়তা করে, সেইসঙ্গে এসব খাবারে ক্যালোরিও থাকে কম। তাই গরমে ওজন কমাতে চাইলে এগুলো খাবারের তালিকায় যোগ করুন।
সঠিক মশলা বেছে নিন : রসুন, মরিচ এবং আদার মতো মশলা আমাদের শরীর আরো গরম করতে পারে। গ্রীষ্মে এ ধরনের মশলার ব্যবহার সীমিত করতে হবে। এর বদলে মেথি, জিরা, ধনিয়া এবং পুদিনার মতো শীতল মশলা বেছে নিন। শুধুমাত্র যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্যই নয়, এটি প্রত্যেকের জন্য প্রযোজ্য। এই মশলাগুলো যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্যও ব্যাপক কার্যকরী। রান্নায় ব্যবহার করা ছাড়াও এসব মশলা দিয়ে তৈরি পানীয় পান করতে পারেন। এতে শরীর ডিটক্সিফাই হবে, হজম সহজ হবে এবং ওজনও কমবে সহজেই।
আম খাওয়া পুরোপুরি বাদ দেবেন না : গ্রীষ্মের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফলের নাম হলো আম। অনেকে মনে করেন, আম খেলেই ওজন বাড়ে হু হু করে। আসলে কি তা ঠিক? পুষ্টিবিদের মতে, আম সব সময় ওজন বাড়ায় না। যদি পরিমিত এবং সঠিক সময়ে খাওয়া হয়, তাহলে আম আপনার জন্য বেশ স্বাস্থ্যকর হতে পারে। আমে থাকা ফাইবার সামগ্রী আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখতে এবং তৃষ্ণা দূরে রাখতে সাহায্য করে। এতে বার বার খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা সম্ভব হয়। ফলে কমে আসে ওজন বৃদ্ধির ভয়ও।