আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনীতির পর বিএনপির এখন টার্গেট হচ্ছে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করা। অর্থনীতির চাকা বন্ধ করতে তারা নব-নব কৌশলে নতুন-নতুন ষড়যন্ত্র করছে।
গত সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশ ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগুন লাগাতে হবে, লুটপাট করতে হবে– এটাই বিএনপির স্বভাব। অর্থপাচারকারী লুটেরাদের হাতে দেশের ক্ষমতা জনগণ দেবে না। বিএনপির আন্দোলন মানুষ বুঝে গেছে। এসব ভুয়া, তাদের ২৭ দফা ভুয়া, যারা গণ-আন্দোলনই করতে পারেনি, তারা গণঅভ্যুত্থান কীভাবে করবে। বিএনপি পথহারা পথিকের মতো দিশাহারা। মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, লুটপাটের হাওয়া ভবন, মাগুরা মার্কা নির্বাচন, প্রহসনের নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ ফিরে যাবে না। বিএনপি হিংসার আগুনে জ্বলছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের জ্বালায় ভুগছে। বাংলার মানুষ ভালো আছে, এটাতে মির্জা ফখরুলের ভালো লাগে না। বিএনপি এটা সইতে পারে না। ৫২ দল, ১২ দল, ১৪ দল, একবার শুনি ২৭ দফা, মানববন্ধন, এরপরে গোলাপবাগে গরুর হাটে গিয়ে হোঁচট খেয়ে আর দাঁড়াতে পারেনি তারা। বিএনপি রাজনীতিতে ডিফিট খেয়েছে। বিএনপি সব সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্রের নামে ঘোমটা পরা প্রার্থী দিয়েছে। আওয়ামী লীগর সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজকে বিদেশ সফরের গুরুত্ব বোঝে না, তারাই বঙ্গবন্ধুর কন্যার এ সফর নিয়ে কটাক্ষ করছে। শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করতে যাননি, তিনি গিয়েছেন দেশের উচ্চতা বাড়াতে। নিজের জন্য নয়, আগামী বাজেটের জন্য সহযোগিতা চাইতে। বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে যারা কষ্ট পাচ্ছেন সেই সাধারণ জনগণকে বাঁচাতে বিদেশ গেছেন। ১১ লাখ রোহিঙ্গারা আমাদের ওপর বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মির্জা ফখরুল কটাক্ষ করেন। শেখ হাসিনা বাজেট সহযোগিতার জন্য জাপানে ৩০০ মিলিয়ন পেয়েছেন, বিশ্বব্যাংক থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার পাওয়ার কথা আছে।
আগামী দিনগুলো সুন্দর করার জন্য, বিশ্ব সংকটে জীবনের চাকা সচল রাখা, সাধারণ মানুষের শান্তির জন্য শেখ হাসিনা বিদেশ গেছেন। দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়– এমন কেউ দলের মনোনয়ন পাবেন না। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত ঐক্যের পতাকা সমুন্নত রাখব। এই ঐক্যে যেন চিড় না ধরে, ফাটল না ধরে। এই ঐক্যকে আরো সংহত করতে হবে।
সড়কমন্ত্রী বলেন, এই ঈদে কোনো পথেই অশান্তি নেই। মানুষ শান্তিতে বাড়ি ফিরেছে। মানুষ যদি শান্তিতে থাকে বিএনপির মনে কষ্ট লাগে। বাংলার মানুষ ভালো আছে, আর বিএনপির মন খারাপ।
জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কেএম আযম খসরুসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।